কমলগঞ্জে কয়েক দফা সড়কে গাছ ফেলে গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত নগদ ৫৩ হাজার টাকা ও ১৩টি মোবাইল সেট, ৪টি দা, ১টি রামদা, ১টি তলোয়ার, ১টি কিরিজ, ১টি ছুরি ও ১টি হাত করাত উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সড়কে গাছ ফেলে অটোরিকশা সিএনজি, মাইক্রোবাস থামিয়ে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতদল যাত্রী ও চালকদের হাত-পা বেঁধে, জখম করে টাকা ও মোবাইল লুণ্ঠন করে।
এ ঘটনায় আটক সাতজনের মধ্যে দুইজন তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছে। ডাকাত দলে মোট ১৫ জন সদস্য রয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো বশির আহমেদ (৩৫), মো. আবুল হোসেন (৩৫), কইনুল ইসলাম (২৫), সবুজ মিয়া (৫০), লোকমান মিয়া (৩০), আব্দুল মালিক (২৮) ও আরিফ মিয়া (৪২)।
এদের মধ্যে মূলহোতা বশির আহমেদ ও মো. আবুল হোসেনকে ৭দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সবুজ মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
১৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের রশিদপুরে সড়ক ডাকাতির সঙ্গে তারা জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বশির আহমদ সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজার উপজেলার রামপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে, আবুল হোসেন ব্রাহ্মবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার পূর্বভাগ গ্রামের সোয়াব মিয়ার ছেলে, কইনুল ইসলাম কুলাউড়ার জয়পাশা এলাকার মৃত মনির মিয়ার ছেলে, সবুজ মিয়া চুনারুঘাটের পান্ডাউল গ্রামের খোশেদ আলীর ছেলে, লোকমান মিয়া, আব্দুল মালি ও আরিফ মিয়া কমলগঞ্জ থানার ইসলামপুর গ্রামের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা।