1. sparkleit.bd@gmail.com : K. A. Rahim Sablu : K. A. Rahim Sablu
  2. diponnews76@gmail.com : Debabrata Dipon : Debabrata Dipon
  3. admin@banglanews24ny.com : Mahmudur : Mahmudur Rahman
  4. mahmudbx@gmail.com : Monwar Chaudhury : Monwar Chaudhury
হবিগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন




হবিগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
    আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ৮:০১:০৩ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে দিন দিন বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ। এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাই বেশি। তন্মধ্যে জ্বর, ঠান্ডা কাশি, ডায়রিয়া, শাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন রোগীরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কই বেশি। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। ফলে মেঝে ও বারান্দায় থেকে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা পেতেও নানা দুর্ভোগের অভিযোগ রোগীদের। রোগীর চাপ থাকায় শয্যাসংকট, সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ নানা অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। হাসপাতালের তত্ত্বাকধায়কের কার্যালয় থেকে জানা যায়, শিশু ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা মাত্র ৭০টি অথচ প্রতিদিন সেখানে রোগী ভর্তি হচ্ছে বরাদ্দ সিটের দ্বিগুন কখনো তিনগুন।

শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা প্রায় সবাই ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী। যাদের বেশির ভাগই হাওর ও প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেক শিশু রোগীকে মেজেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের মেঝে ও বিছানাগুলোও ছিল অপরিচ্ছন্ন। যেখানে-সেখানে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা, থুতু, পানের পিক।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নোংরা পরিবেশের কারণে উল্টো আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকার রিপিনা আক্তার ৯ মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন।

তিনি জানান, তিন দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু ঠিক সময় চিকিৎসক, নার্স শিশুটিকে দেখতে আসেন না কোনো প্রয়োজনে নার্সদের ডাকলে তাঁরা দুর্ব্যবহার করেন। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মাহবুবা আক্তার এক বছর বয়সী মেয়েকে শাষকষ্ট জনিত কারনে ভর্তি করিয়েছেন।

তিনি জানান, নার্স ইনজেকশন দিয়ে বলেন লাইনে দাড়িয়ে নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য। নেবুলাইজারের কাছে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। মাত্র একটি নেবুলাইজার মেশিন অথচ শিশু শত শত। তাই বাধ্য হয়েই নেবুলাইজার কিনে বাড়ীতে গিয়েছেন। শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য মাধবপুর থেকে এসেছেন ইয়াছিন নামে এক ব্যক্তি।

তিনি জানান -শিশু ওয়ার্ডের চারপাশ নোংরা হয়ে আছে, সিটগুলোতে চাদর নেই, দাগ আর ময়লা হয়ে আছে হাসপাতালের মেঝে। এখানে শিশুদের যে পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাতে শিশুরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা ৭০ টি অথচ এখানে প্রতিদিন শতাধিক কোন দিন তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। ফলে অনেক রোগীকেই মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হয়। এছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।




খবরটি এখনই ছড়িয়ে দিন

এই বিভাগের আরো সংবাদ







Copyright © Bangla News 24 NY. 2020