আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে টানা ১০ম বারের মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলটির সভাপতি নির্বাচিত করলেন কাউন্সিলররা। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তার হাতে তুলে দেয় দলের নেতৃত্ব। এরপর দলটির যতগুলো সম্মেলন হয়েছে ততবার বঙ্গবন্ধু কন্যার বিকল্প ভাবেনি আওয়ামী লীগ।
সর্বশেষ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত দলটির ২২তম জাতীয় সম্মেলনে আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দলটির সভাপতি নির্বাচিত করেন আওয়ামী লীগের সারাদেশের প্রতিনিধিরা।
দলটির নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রথা অনুযায়ী, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথমে সভাপতির নাম প্রস্তাব করেন একজন নেতা। পরে আরেকজন নেতা তা সমর্থন করেন। সবার কণ্ঠভোটে সেটি পাস (অনুমোদন) হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সভাপতি হিসেবে ‘অবিকল্প’ মনে করেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। ফলে নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভালোবাসায় দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশন শেষ হয় দুপুর সোয়া ১টায়। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথম অধিবেশন শেষ হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঞ্চালনায় বিকেল ৩টায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় কাউন্সিলরদের বক্তব্যের জন্য মঞ্চ উন্মুক্ত করে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
উল্লেখ্য, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রথমবার ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে পঁচাত্তর-পরবর্তী প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসে দলটি, প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলটি জয়লাভ করে। টানা ৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে ২২তম জাতীয় সম্মেলনে যখন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা পৌঁছান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গনজুড়ে তখন দলটির প্রায় সাতশো কাউন্সিলর, আমন্ত্রিত অতিথি ও অসংখ্য নেতাকর্মী। জাতীয় ও দলীয় পতাকা ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।
উল্লেখ্য, সভাপতি হিসেবে কেন আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার বিকল্প ভাবেন না, তা ফুটে উঠেছে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। সম্মেলনের দুই দিন আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সভাপতি আমাদের অপরিহার্য। যিনি (শেখ হাসিনা) সভাপতি, তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক।