এক রাতে তিন নারীকে ধর্ষণ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২২, ১০:১৩ অপরাহ্ণ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ফ্রান্সের হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ জেতেন বেঞ্জামিন মেন্ডি। তারকাখ্যাতি পাওয়া ম্যানচেস্টার সিটির এ ডিফেন্ডার পরবর্তী সময়ে মেতে ওঠেন এক নোংরা খেলায়। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের আগস্টের মধ্যে সাত তরুণীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। গত বছরের আগস্টে গ্রেফতারের পর, সোমবার (১৫ আগস্ট) শুনানিতে চেশায়ারের আদালতে তার বিরুদ্ধে এক রাতে তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
আদালতে মেন্ডিকে‘যৌন রাক্ষস’ উল্লেখ করে আইনজীবী টিমোথি ক্রে জানান, নারীদের ‘খেলার বস্তু’ হিসেবে দেখতেন ২৮ বছর বয়সী এ ফরাসি ডিফেন্ডার। তাকে ধর্ষণের কাজে সহযোগিতা করতো লুইস সাহা মাত্তুরিয়ে নামে ৪১ বছর বয়সী তার এক বন্ধু। যিনি মেন্ডির খ্যাতি ব্যবহার করে ম্যানচেস্টারের বিভিন্ন নৈশক্লাবে গিয়ে নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসতেন।
ক্রে আদালতকে জানিয়েছেন, মেন্দি ও সাহা ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণীদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন। এরপর অধিক মদপান করিয়ে তারা দু’জন ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করতেন। এসব বিষয় অবশ্য অস্বীকার করেছেন তারা। টিমোথি ক্রে দিন-তারিখ উল্লেখ করে আদালতের শুনানিতে বলেছেন, গত বছরের ২৩ জুলাই রাতে এবং পরদিন সকালে মেন্ডি ২২ বছর বয়সী এক তরুণী এবং ১৯ বছর বয়সী দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। লুইস সাহাও ১৯ বছর বয়সী দুজনের মধ্যে একজনকে ধর্ষণ করেন এবং বাসার বাইরে ২২ বছর বয়সী আরেকজনকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মেন্ডি তার বদ্ধরুমে সাতজনকে ধর্ষণ করেছেন ও একজনকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলেও অভিযোগ তোলেন ক্রে।
আইনজীবী ক্রে তার ব্যাখ্যায় আদালতকে বলেছেন, ‘এটা পুরনো এক অধ্যায়েরই অনুচ্ছেদ, যেখানে পুরুষরা ভাবে তারা শক্তিশালী, সেজন্য তারা নারীদের ওপর নির্যাতন করে, ক্ষমতা দেখায়। এ নারীদের ক্ষেত্রেও ভাবা হয়েছে ব্যবহারের পর ছুড়ে ফেলে দেবে এবং তার কিছুই হবে না।’ তিন মাস শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। ফ্রান্সের হয়ে ১০ ও ম্যানসিটির হয়ে তিনি ৫০ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মেন্ডি।