কভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার কম দেশের কাতারেই রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:১৭ অপরাহ্ণস্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে কভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত মার্চ মাসে কভিড যখন দেশে প্রথম চলে আসে তখন নানা মানুষ নানারকম জল্পনা কল্পনা শুরু করতে থাকে। তখন বলা হতো বাংলাদেশে মানুষের লাশ রাস্তায় পড়ে থাকবে। করোনায় লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। অথচ বাংলাদেশে কভিডে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার বিশ্বের সবচেয়ে কম দেশের কাতারেই রয়েছে।’
রোববার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর শিশু হাসপাতালে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে সারাদেশব্যাপী ১ লক্ষ ২০ হাজার ক্যাম্পে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা ইউরোপ, আমেরিকার থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে। কভিডে বাংলাদেশ এখন অনেকটাই নিরাপদ। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিক নির্দেশনা ও দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই।’
তিনি বলেন, আজকের প্রতিটি সুস্থ শিশুই আগামী দিনের উজ্জ্বল বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আজকের শিশুকে টীকা দিলে সেই সন্তান ভবিষ্যতের সুস্থ ও মেধাবী সন্তান হবে। এই সন্তান ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবে। একইভাবে এই টীকা না দেয়া হলে সন্তান নানা রোগে রোগাক্রান্ত হতে পারে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আজ (৪ অক্টোবর) থেকে ১৭ অক্টোবর সারাদেশের সকল ইপিআই টীকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সমূহে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মায়েদের উদ্যেশ্য করে তিনি জানান, শিশুর জন্মের পর প্রতিটি মা’কে এক ঘন্টার মধ্যে শাল দুধসহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।
টীকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপি আই টীকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ,লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমান সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।