কাল শেষ হচ্ছে বইমেলা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০২১, ২:৪০ অপরাহ্ণমাসব্যাপী বইমেলা শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। যদিও পহেলা বৈশাখের দিন মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিল। সে হিসাবে দুদিন আগেই সাঙ্গ হচ্ছে বাঙালির এই প্রাণের মেলা। ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য আসছে কঠোর লকডাউন। তাই ১৩ এপ্রিলের মধ্যেই যেন প্রকাশকরা তাদের বই ও স্টলের সব সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে পারেন সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় মেলার দুয়ার খুলতেই আসে সেই খবর। তাই পছন্দের বই কিনতে অনেকেই চলে আসেন মেলায়।
প্রকৃত অর্থে এবারের মেলা জমেনি কিন্তু থেমে থাকেনি বই প্রকাশ। খ্যাতিমান গবেষক ড. আবুল বারকাতের লেখা ‘বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র’ বইটি পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে বেশ। এটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও মুক্তবুদ্ধি প্রকাশনা। সালেহ খোকনের লেখা ‘৭১-এর আকরগ্রন্থ’ প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশ। এই বইটিও পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে বলে জানা গেছে। অগ্রজ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের ‘দুইশ ছড়ার ঝিলিক’ বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা। অগ্রজ সাংবাদিক নঈম নিজামের ‘নেতার মদে পানি’ কলাম বিষয়ক বইটি প্রকাশ করেছে অন্বেষা প্রকাশন।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসানের লেখা ‘আমার বাবা ও একাত্তরের অম্লান স্মৃতি’ বইটিও প্রচুর বিক্রি হয়েছে। এটি প্রকাশ করেছে আগামী। প্রকাশনাটির স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি জানান, গত শুক্রবার বইটি প্রস্তুত হলেও মেলায় আনা সম্ভব হয়নি। শনিবার মেলায় আসার পর থেকেই সাজ্জাদুল হাসানের ভক্ত-অনুসারীরা বেশ কিনছেন। বইটির প্রতি পাঠকের এমন আগ্রহ দেখে ভিশন ভালো লাগছে। বইটির ভূমিকায় শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লিখেছেন- ‘…সাজ্জাদুল হাসান বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেন, তার প্রতিফলন এ লেখাগুলোয় আছে…।’ নিজের বই সম্পর্কে সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘আমার প্রতিটি লেখা সহজ ও সংক্ষিপ্ত। লেখার সময়ে জানতাম এগুলো নিভৃত এবং ব্যক্তিগত। কিছু কিছু লেখা সেমিনারে প্রবন্ধাকারে পড়েছি। লেখার এসব ভাবনা আর অনুভব হয়তো অনেকের কাছে তুচ্ছও লাগতে পারে; কিন্তু স্বপ্নের প্রতি অবিচল আস্থা ও ঘনতাই বইটি প্রকাশের ব্যাপারে প্রাণিত করেছে।’
গণমাধ্যমের চলমান সংকটের ভেতরে-বাইরের অনালোচিত বিষয় নিয়ে সাংবাদিক নিয়ন মতিয়ুলের লেখা ‘গণমাধ্যম অন্দরের ইতি-নেতি’ বইটি এনেছে বলাকা প্রকাশন। বইটিতে অব্যবস্থাপনা, অভিজাত ধারার সাংবাদিকতা, প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি আর ডিজিটাল আইনি জটিলতার কারণে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে হারতে বসা দেশের গণমাধ্যমের সমস্যাগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়াও অগ্রজ ও অনুজের লেখা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বই এসেছে এবারের মেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল নতুন বই এসেছে ১০৮টি। বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বই এবারের মেলায় এসেছে।
বাংলা নিউজ এনওয়াই-এবিএ