চাঁদাবাজি ও অপহরণ অভিযোগ : সুনামগঞ্জে শ্রমিক লীগ সভাপতি আটক
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২২, ২:৫৩ অপরাহ্ণচাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট ) ভোর রাতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগরের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই অভিযোগে তার চাচাতো ভাই মুর্শেদ আলমকে ও পুলিশ আটক করে।
তাহিরপুর থানার মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ১১ আগষ্ট বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সংসার হাওরের জেটি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যাক্তিকে অপহরণ করে করা হয়। দুটি স্পীডবোড যোগে ১৪ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পাওয়ায় সেখানে রাতভর ব্যবসায়ীদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও প্যাডে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করে।
এ ঘটনার পর তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে উঠে। পরবর্তীতে অপহরণকারী চক্র ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) ভোররাতে জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয়। এরপর তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এর নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল তাহিরপুরের লাউড়ের গড় সাহিদাবাদ থেকে মোর্শেদকে আটক করে।
এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার হাসননগর এলাকার মৃত রাজা মিয়ার পুত্র ওলিউর রহমান বাদী হয়ে মোর্শেদ ও তার অপর তিন সহোদরসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা দায়ের করা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার চাচাতো ভাই শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদকে আটক করা হয়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার সেলিমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সেলিম আহমদের ভাই নিজাম উদ্দিন জানান, তার ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ঘটনায় সেলিম কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ঘটনার কয়েকদিন পর হঠাৎ তাকে আটক করার ঘটনা সাজানো। তিনি আরও বলেন যারা আমাদের পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে তাদের বিচার আল্লাহ করবেন।