দুর্গোৎসবের ছুটিতে সিলেটে পর্যটকের ঢল
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২:২৯ অপরাহ্ণদুর্গোৎসবের লম্বা ছুটিতে সিলেটের সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে পর্যন্ত পর্যটকরা ভাড়ায় থাকছেন। কোথাও খালি নেই আবাসিক হোটেলের একটি সিটও। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
সিলেটের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেনকে আবাসিক হোটেল ভাড়া নিতে বলেছিলেন তার এক বন্ধু। আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) তার বন্ধুর হোটেলে ওঠার কথা। কিন্তু মোয়াজ্জেম সিলেটের পাঁচটি আবাসিক হোটেল ঘুরেও কোথাও ভালো মানের কক্ষ পাননি। কথা হয় মোয়াজ্জেমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, পাঁচটি হোটেলে গিয়ে খবর নিয়েছেন। কিন্তু কোথাও কোনো কক্ষ পাননি। কক্ষ না পেয়ে এখন বেকায়দায় পড়েছেন তিনি।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেলে চারজনের একটি কক্ষ পেয়েছিলেন। তবে সেটির ভাড়া প্রায় ১৯ হাজার। এত দামে এক রাতের জন্য ভাড়া দিয়ে থাকা সম্ভব নয়। এখন পরিচিত আরও কয়েকটি হোটেলে খবর নিচ্ছেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের পরে কোনো কক্ষ পাচ্ছেন না তিনি।
সিলেটের হোটেলমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেটে গত দুই বছরের মধ্যে এবার হোটেল-মোটেল ব্যবসা চাঙা হচ্ছে। সামনে লম্বা ছুটি থাকায় সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নামবে। এ ছাড়া সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান টি-টোয়েন্টি নারী এশিয়া কাপও প্রভাব ফেলেছে হোটেলগুলোতে। সব মিলিয়ে সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে।
নগরের জিন্দাবাজার এলাকার একটি হোটেলের মালিক বলেন, বুধবার থেকে হোটেলের বেশির ভাগ কক্ষ বুকিং করা। পর্যটকদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা দুইটা পর্যন্ত হোটেলের প্রায় ৭৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, করোনা ও বন্যার প্রভাব কাটিয়ে সিলেটে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি থাকবে।
সিলেটের হোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী জুয়েল জানান, হোটেল-মোটেলগুলো ভরপুর পর্যটক পাচ্ছে। সিলেটে নারী এশিয়া কাপ আয়োজন বড় একটি কারণ। সব মিলিয়ে এবার চার দিনের ছুটিতে পর্যটকদের সরব উপস্থিতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর পরিচালিত নগরের নাইওরপুল এলাকার ফরচুন গার্ডেন হোটেলের প্রায় সব কটি কক্ষ ইতিমধ্যে রিজার্ভ হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার সাদাত বলেন, আগামী কয়েক দিন সরকারি ছুটিতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সমাগম বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।