মানুষের দৃঢ়তার প্রশ্নে আমি বাকরুদ্ধ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মে ২০২১, ২:৫১ অপরাহ্ণআমরা এখন এমন এক অবস্থায় আছি না পারি বলতে সুখের কথা, না পারি বলতে দুখের। খুব কষ্টে আছি সেটাও আর বলা যাবে না, নিজের দুর্বলতা কে সবাই সুযোগ নেয়। যে মানুষ আগামীর শিশুকে বই দেখে দেখে মুখস্ত পড়ায়, সদা সত্য কথা বলবে, কখনো অন্যের ক্ষতি করবে না, চুরি করবে না,কখনো মিথ্যে বলবে না। সেই আজব কারিগররা নিজের বেলায় কতোটুকু সত্যতা পালন করছেন। বরং তারাও মিথ্যের কই ছড়াচ্ছেন তাদের স্বীয় প্রয়োজনে।
কাকে মানুষ বলবো আর কাকে অমানুষ! অবাক হয়ে যাই দেখে তাদের ব্যবহার। কি সুন্দর মিষ্টি কথার অক্ষর সাজায় মানুষগুলো। যে মানুষগুলোকে দেখে দেবতার মতো মনে হয়। যে মানুষগুলোকে দেখে শ্রদ্ধায় প্রনাম করতে ইচ্ছে হয়। তারাও কেবল শামুকের খোলস পড়ে আছে। আর তখনি আয়নায় উন্মোচিত হয় তাদের মুখ অবয়ব যখন তারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয় তাদের স্বার্থ সিদ্ধিতে। তখন সে মানুষগুলো হয়ে ওঠে এক একটা বিষাক্ত কেউটের মতো। ভুলে যায় ন্যায় নীতি আর আদর্শ বচন। সত্যি বলতে তারা কখনো নীতির কৌটায় ছিলো না। তারা ছিলো শুধু মাত্র সময়ের প্রশ্নে দাড়িকমা স্বরূপ। খাতা আর কলমের মধ্যেই তাদের শিক্ষার প্রাচুর্য্যতা।
যেখানে মানুষ মানুষের অক্ষমতা, ব্যথার কথা শুনলে তাকে প্রীতি ও সহমর্মিতা দেখানোর কথা। এই সমাজের মানুষগুলো সেখানে অন্যের দুর্বলতায় সহজে আঘাত করে। এটা শুধু মাত্র এই সমাজে এই দেশে খুব দেখা যায়। ‘মানুষের স্বরূপ বড় অপরূপ’।
যে মানুষগুলো বানরের মুখোশ পড়ে অবলীলায় বদলায় তার প্রতিশ্রুতি। এই মানুষগুলোর দৃঢ়তার প্রশ্নে আমি বাকরুদ্ধ। এই মানুষগুলো কতো সুনিপুণ কতো সুনিবিড় মিথ্যাপনার জাল বুনে। অথচ সুতীক্ষ্ণ তীর্যের কাছে তারা মেকী। সমাজে সৃষ্ট সকল জীব, সকল প্রাণী আমরা একে অন্যের পরিপূরক, একে অন্যের পরিবর্ধক। আমরা একটা আস্ত ভেড়া কে গলধ:করণ করি নিজের ক্ষুধা নিবারণের নিমিত্তে। যে প্রাণীটি তার প্রাণ বিসর্জনের পূর্ব মূহুর্ত যেমন উপকারী ছিলো তেমনি প্রাণ নেওয়ার পরও আমাদের উপকার থেকে ক্ষান্ত হয় নি। কিন্তু আমরা মানুষরা বেঁচে থাকতে যেমন করে হিংসার বেড়াজালে নানা কূপমন্ডতায় অন্যের মৃত্যুখবর বুনছি তেমনি মরেও হচ্ছি মৃত্তিকায় আবর্জনার পচা স্তূপ।
যে মানুষগুলো লোক ঠকিয়ে, ঘুষ দুর্ণীতি করে পাকা বাড়ি দালান অট্টালিকা আর অর্থের ঝুনঝুনি দেখাচ্ছেন সমাজে। একবার চোখ বন্ধ করে দেখেছেন ? একবার ভেবেছেন কি? কুপবৃত্তির অর্থে নিজের লালিত সন্তানদের অন্ধকারের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। যে পথের রচনা আপনাদের মতো ঘৃণ্য মানুষ পশুরা করে যাচ্ছেন।
এই মানুষ কতো কিছুই না জানে। হাসতে জানে, বাসতে জানে, চোখের জলে ভাসতে জানে। আবার মিথ্যে ভালো বলতেও জানে। কতোই না অদ্ভুত এই মানুষ। অরণ্যের বনে মানুষ নেকড়ে হয়ে মানুষেরই রক্তমাংস ভক্ষন করে। এই মানুষ বড় আজব। তারা বোমারু মেশিন হয়। ডানা ঝাপটায় বিমানে বারুদে কাড়ে অবহেলিত নিংস্বের মুখের গ্রাস। একমাত্র মানুষ যাদের বিচরণ জলে স্থলে আকাশে। আর “একমাত্র এই মানুষরাই করে তাদের সীমা লঙ্গন। তারা যেমন জলের জোঁক হতে পারে তেমনি হতে পারে ডাঙ্গার কুমির”।
সমাজে কিছু অবচেতন অধ:পতিত মনের মানুষ আছে। যারা ক্ষমতা আসিনের লোভে মত্ত হয়ে সমাজে বাড়াচ্ছে নৈরাশ্য। ধর্ম তাদের হাতের বলির পাঠা মাত্র। যে সমাজ সৃষ্টির লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধতা শান্তি শৃঙ্খলা। সেই সমাজে মানুষে মানুষে শুনি কেবল কলহ। শুনি অনাচার অবিচার আর বেদনা বৈষম্য। এই বর্বর মানুষরা এখনো খেলে যাচ্ছে ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু শ্রেণীবিভাজনের মতো নিধন খেলা।যেনো অন্যায়ের বিপুল হিমালয় ধেয়ে আসছে আগামীর সুদীর্ঘ সু-পথে।
বাংলা নিউজ এনওয়াই-এবিএ