রাজার কাছেই সিরিজ হারল বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১০:০৩ অপরাহ্ণসিকান্দারা রাজার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচেও অপরাজিত সেঞ্চুরি করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। রাজা ছাড়াও ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক রাগিস চাকাভা। আগের ম্যাচ রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়া সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পথে পঞ্চম উইকেটে ২০১ রানের জুটি গড়েন চাকাভা ও রাজা।
রোববার (৭ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চাকাভা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। আগ্রাসী ভূমিকায় ব্যাট করেন টাইগার কাপ্তান তামিম ইকবাল। ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫তম অর্ধশত রান তুলে ফেরেন তিনি। বিদায়ের আগে ৪৫ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে করেন ৫০ রান করেন তামিম। এরপর রান আউটে কাটা পড়ে দ্রুতই বিদায় নেন বিজয়। ৭৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর শান্ত আর মুশফিক রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৫০ রান। মুশফিক ১ চারে ৩১ বলে ২৫ রানে আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে দলের রান রেট কমিয়ে ৫৫ বলে ৩৮ রানে ফেরেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ জুটি গড়েন।
মাঠে নেমেই খোলসেই আকটে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ, তবে অপর প্রান্তে হাত খুলে খেলতে থাকেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৪১ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৪১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন আফিফ। শেষদিকে ফিফটির কোটা ছোয়ার পর কিছুটা দ্রুত রান তোলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত তার ৮৩ বলে ৮০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৯০ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। এদিন জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা ব্যাট করতে নেমে দলীয় সংগ্রহ ৫০ পেরুনোর আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। এরপরই মূলত পুরো ম্যাচের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা ও অধিনায়ক চাকাভা। এ দুজনে পঞ্চম উইকেটে ২০১ রানের জুটি গড়ে দেন। চাকাভা যখন বিদায় নেন তখন দলের সংগ্রহ ২৫০ রান। অর্থাৎ জয় থেকে তখন ৪০ রান দূরে জিম্বাবুয়ে। চাকাভা মিরাজের শিকার হওয়ার আগে অবশ্য ৭৫ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
ষষ্ঠ উইকেটে নেমে টনি মুনইয়ঙ্গা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছয়ে ৩০ রান সংগ্রহ করেন। এতে জিম্বাবুয়ের জয় পেতে কোনও কষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ১২৭ বলে ৮ ছয় ও ৪ চারে ১১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর মুনইয়ঙ্গা ১৬ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।