সরকার গুলি করবে আর আমরা চীনা বাদাম খাব, তা হবে না
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২২, ১১:০৭ অপরাহ্ণবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন সরকার গুলি করবে আর আমরা বসে বসে চীনা বাতাম খাব, এটা হবে না । সোমবার (১ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আব্দুর রহিমের মতো মানুষ মারা যাবে, আর বক্তৃতা দেব, আর বসে বসে চীনা বাদাম খাব। এটা হবে না। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ একা নয়। সব সংগঠনকে মাঠে নামতে হবে। তাদের জবাব দিতে হবে। এরা রক্তপিপাসু, এদের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর কথা, সুন্দর বাক্য বিনিময়ের দরকার নাই। যেখানে হাত ছাড়া কথা চলে না সেখানে হাতই ব্যবহার করতে হয়। আপনারা সব বোঝেন তাই যখন যেখানে ঘটনা ঘটবে সারা দেশে যে যেখানে আছেন মুহূর্তের মধ্য বেরিয়ে পড়বেন। আজকে আমাদের না পেয়ে ঘরের মানুষদের ধরে নিয়ে যায়। সুতরাং এরা যদি নিয়মের বাইরে, আইনের বাইরে কাজ করতে পারে, এদের সঙ্গে আমার আইনের ভাষায় কথা বলার প্রয়োজনটা কী?’
তিনি বলেন, ‘ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম স্বেচ্ছাসেবক দলের জন্য জীবন দেয় নাই, রহিম জীবন দিয়েছে দলের জন্য, রহিম জীবন দিয়েছে দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে। আমি বলব, এই আত্মত্যাগ থেকে আপনারা শিক্ষা নিয়ে আমাদের যে ধরনের প্রোগ্রাম দেয়া দরকার সেই ধরনের প্রোগ্রাম দিয়ে জবাব দিতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা পুলিশকে দোষারোপ করি, পুলিশ যে গুলি করছে। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কে? তাকে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এসপিকে বলতে চাই, আপনি পৈতৃক সূত্রে ভোলার মালিক হন নাই। চাকরি করতে গেছেন। সভা শেষে তারা মিছিল করতে চেয়েছে। মিছিল করা কোনো অন্যায় নয়। এটা নাগরিক অধিকার। আপনি বাধা দেয়ার কে? আর বাধা দিতে গিয়ে আপনি গুলি করার কে? প্রতিটি গুলির হিসাব আপনাদের দিতে হবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ঈশ্বর যেসব পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দীর্ঘায়ু করো। কারণ আমরা নিজের হাতে তাদের বিচার করা না পর্যন্ত যেন ওরা জীবিত থাকে। সরকারের নির্দেশ যদি না থাকতো তাহলে ভোলার এসপি ইতোমধ্যে সাসপেন্ড হতো। যারা গুলি করেছে তারা বিভাগে ক্লোজড হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পুলিশকে নিয়ে এমনভাবে কথা বলি যেন মনে হয়, ওরা আমাদের দুলাভাই। প্রজাতন্ত্রে সকল কর্মচারী আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে। কিন্তু তাদের টাকায় জনগণ চলে না। তারা যদি আমাদের সঙ্গে বেআইনি করে তাহলে আমরা তাদের সঙ্গে সেরকম করতে পারব।’
ভোলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন যে ক’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠের নেতাকর্মীদের পাল্টা আঘাতের আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মোবাইলে ছবি তোলা, ভিডিও করা আর শেয়ার দেয়ার মধ্যেই নেতাকর্মীরা তাদের দায়িত্ব সারছেন। রহিমের মৃত্যুতে কেন তাৎক্ষণিক নেতাকর্মীরা সারা দেশে আগুন জ্বালিয়ে না দিয়ে নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম সারওয়ার, ইয়াসীন আলী প্রমুখ।