সিলেটে গির্জার জায়গা জালিয়াতি : আইনজীবী সিরাজ কারাগারে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২২, ৯:২৭ অপরাহ্ণগির্জার ভূমি জালিয়াতি করে নির্মাণ করা হয় বহুতল বিশিষ্ট ভবন ইম্পালস টাওয়ার। অভিযোগ রয়েছে টাওয়ারের মালিক আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম সাফকাবালা দলিল সৃষ্টি এবং জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে এই ভবন নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন পর্যন্ত গড়ালে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় আইনজীবি সিরাজুল ইসলামকে রোববার (১৪ আগষ্ট) কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মামলার শুনানী শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি আদালতে জামিন বাতিলেরও আবেদন করা হলে শুনানী শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী নাহিদা।এর আগে চেক ডিজঅনার ও প্রতারণা মামলায় দুইবার জেল খাটেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
নগরীর রিকাবিবাজারের পুলিশ লাইন্স লুসাই গির্জা সমিতির জায়গা ও তাদের কবরস্থানের ভূমি জালিয়াতি করে সাফকাবালা দলিল সৃষ্টি, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও নামজারি করার অভিযোগে ২০২১ সালের ২৯ জুন মামলা করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইসমাইল হোসেন।
মামলায় জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার, ভূমি অফিসের কানুনগো ও তহশিলদারকে আসামি করা হয়।
সাবরেজিস্ট্রার সিলেট থেকে বদলী হওয়ার পর পলাতক থাকলেও মামলায় জামিনে ছিলেন সিরাজসহ অপর দুইজন। সম্প্রতি পুলিশ লাইন্স গির্জা সমিতির চেয়ারম্যান জমিংথাংগা লুসাইকে হুমকীর অভিযোগে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায়ে একটি জিডি করা হয়।
প্রসঙ্গত, রিকাবিবাজারের সিলেটে জেলা স্টেডিয়ামের সামনে গির্জার জায়গা ও কবরস্থান দখল করে ইম্পালস টাওয়ার গড়ে তুলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম সাক্ষি সেজে ছাফিয়া আহমদ নামের এক মহিলার নামে ৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি গির্জার ১৫ শতক জায়গা ইজারার জন্য একটি বয়নাপত্র সম্পাদন
করেন। ওই বায়নাত্র রেজিস্ট্রি না করে সিরাজুল ইসলাম ২০০৬ সালে ২৪ ডিসেম্বর ইজারা বলবৎ থাকাবস্থায় গীর্জা সমিতির অবশিষ্ট ৮০ শতক জায়গা একটি সাফকাবালা দলিল (নং ১৮৫২২/০৬) নিজে সম্পাদন করেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন ইজারাদার ও গির্জা সমিতির লোকজন।
এ নিয়ে মামলা হলে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর আদালত ওই দলিল বাতিল করেন। পরবর্তীতে টাওয়ারে বিনিয়োগকারীসহ গির্জা সমিতির সাথে সিরাজুল ইসলামের একাধিক মামলা হয়। পাশাপাশি গির্জা সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক সিরাজুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।