১৮ দিনে ৫০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি : স্বাগত জানালেন চা শ্রমিকরা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২২, ১১:০৮ পূর্বাহ্ণপ্রধানমন্ত্রীর সাথে শনিবার বৈঠকের পর চা শ্রমিকদের মজুরি আরও ২৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ১৮ দিনের আন্দোলন শেষে শ্রমিকদের মজুরী ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেল। বৈঠকের সিদ্বান্ত অনুযায়ী চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী এখন থেকে ১৪৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৭০ টাকা হিসেবে কার্যকর করা হবে।
এর আগে ২০ আগস্ট শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বৃদ্ধি করে মজুরী ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সর্বশেষ শনিবারের বৈঠকে দেশের বৃহৎ ১৩ চা বাগান মালিক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিকরা। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম অধিদফতরের উপপরিচালকের কার্যালয়ে বৈঠকে দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা মেনে নেয়নি শ্রমিকরা। চলতে থাকে আন্দোলন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা। তিনি একটি জাতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের চা-শ্রমিকদের দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার। প্রধানমন্ত্রী মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। এছাড়া রেশন, চিকিৎসা, ঘরসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য বলেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই।
এদিকে ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের টানা ১৮ দিনের আন্দোলনের কারণে কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা সময়মতো প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।