মহামারী করোনা সংক্রমণ শুরুর ৩ মাস আগ থেকেই জানতেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০২০, ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বকে বড়সড় ধাক্কা দিতে চলেছে, তা আগেই জানতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক মার্কিন রিপোর্টে সে কথাই জোর দিয়ে বলা হয়েছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের একদম গোড়াতেই তিনি আসন্ন মহামারী সম্পর্কে আঁচ পেয়েছিলেন। শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দাবি করেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ টোডাস ফিলিপসন।
ওই অর্থনীতিবিদের দাবি, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর গোটা দুনিয়া যখন নবেল করোনাভাইরাস ভয়াবহতা সম্পর্কে সামান্যও আঁচ করতে পারেনি, তখনই কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করা হয়েছিল কিন্তু তা আমলে নেননি। ট্রাম্প প্রশাসনেরই শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের একটি দল মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তিনি জানান, মহামারীর আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে, ৪১ পাতার একটি রিপোর্টও হোয়াইট হাউজে জমা দিয়েছিলেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্য এই, ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনীতিবিদদের প্রতিবেদনটিকে অবজ্ঞা করেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও গুরুত্ব দিতে চাননি।
টোডাস ট্রাম্প প্রশাসনের কাউন্সিল অফ ইকনমিক অ্যাডভাইজারস সিইএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হয়ে তিন বছর দায়িত্ব সামলেছেন। টোডাসের দাবি অনুযায়ী, ফ্লুয়ের মতো সংক্রমণ যে মহামারীর আকার নেবে, সেই বিপদ সম্পর্কে হোয়াইট হাউজকে তার টিম অনেক আগেই সতর্ক করেছিল। কভিড-১৯ আঘাত হানার তিন মাস আগেই তাঁরা সতর্ক করেছিলেন। মার্কিন এই অর্থনীতিবিদ সাক্ষাত্কারে বলেন, মহামারীতে ৫ লক্ষ মার্কিন নাগরিক যে মারা যেতে পারেন, ৪১ পাতার ওই রিপোর্ট সেই আশঙ্কাও ব্যক্ত করা হয়েছিল। তারা এও জানিয়েছিলেন, এই মহামারীর ধাক্কায় আমেরিকার অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩.৭৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
টোডাস ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরের গোড়ায় যখন রিপোর্টটি হোয়াইট হাউজের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের হাতে হস্তান্তর করেন, তখন চীনের উহানে মাত্র করোনার প্রার্দুভাব দেখা গেছে। তার তিন মাস পরে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি চীন নিজে এই সংক্রমণের কথা জানায়। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডিসেম্বরের শেষে এই সংক্রমণের কথা ঘোষণা করে। শীর্ষ এই অর্থনীতিবিদ জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একা নন, ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই রিপোর্ট সম্পর্কে জানতেন।