ত্রাণে জন্য বন্যাদুর্গতদের যেন ঘাটতি না হয় প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২০, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ
বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের ত্রাণে ঘাটতি না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি এই নির্দেশন দেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সচিবালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবরা যোগ দেন। এই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, মন্ত্রিসভায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্যা নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বন্যায় কোনোভাবেই মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং ত্রাণে কোনো ঘাটতি না থাকে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে টয়লেট সুবিধা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট যেন থাকে।
সচিব জানান, বন্যাদুর্গতদের সহায়তার ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মানুষের পাশে থাকতে হবে। মাঠ প্রশাসন থেকে ত্রাণসামগ্রীর চাহিদা পাঠানোর আগেই বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।এদিকে মন্ত্রিসভার গতকালের বৈঠকে কম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন ২০২০-এর খসড়া এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০২০-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্সের সিভিল এভিয়েশন ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মধ্যে প্রস্তাবিত টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্টের খসড়া, ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা এবং দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক এসংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে হতে যাওয়া চুক্তির আওতায় সে দেশ থেকে রাডার সিস্টেম কিনতে পারবে সরকার। আর তা দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমকারী সব আকাশযান শনাক্ত করা যাবে। আমাদেরকে তারা একটি নতুন রাডার সিস্টেম দিচ্ছে।’বিদ্যমান কম্পানি আইন অনুযায়ী প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। আইনের প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, এক ব্যক্তির মালিকানায় কম্পানি খোলা যাবে। এর বোর্ডে একজন মাত্র সদস্য থাকবেন। আবার বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিশে বোর্ড মিটিং করার বিধান রয়েছে। আইনটি সংশোধন হলে ২১ দিনের নোটিশে মিটিং করা যাবে।মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, আশা করা হচ্ছে এক ব্যক্তিকে কম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করার সুযোগ দিলে অনেক বিনিয়োগ আসবে।সচিব জানান, প্রস্তাবিত নতুন আইনে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাজ সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুই ভিসা করবে। নির্ধারিত কাজের বাইরে তারা আর কোনো কাজ করতে পারবে না।