রয়টার্সের জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে বাইডেন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০২০, ২:৫৭ অপরাহ্ণ
রয়টার্সের জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে বাইডেন!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। এছাড়াও বাইডেন কিছুটা সুবিধা পাবেন অনিশ্চিত ভোটারদের থেকে, যারা এখনও ঠিক করেননি কাকে তাদের ভোটটি দেবেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রয়টার্সের জরিপে দেখা যায়, বাইডেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ৮ পয়েন্টে লিড দিয়ে রেখেছে। তবে কাউকে সমর্থন দেয়নি এমন ভোটারও রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে আরও সুবিধা দেবে নিরপেক্ষ এসব ভোটারেরা।চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত রয়টার্সের এ জরিপে দেশটির নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই সমর্থন দিয়েছে জো বাইডেনকে। আর বাকী ৩৮ শতাংশ ভোটার সমর্থন দিয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। তবে এখন অবশিষ্ট রয়েছে আরও ১৬ শতাংশ ভোটার। যারা কাউকে ভোট দেয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, অবশিষ্ট ১৬ শতাংশ ভোটারের জন্য বিশেষ সুবিধা পাবেন বাইডেন। অবশ্য ওই ১৬ শতাংশ ভোটার তৃতীয় কোন দলকে সমর্থনও দিতে পারে।
যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দুইজনই এখন বিশেষ লক্ষ্য রাখছেন নিরপেক্ষ ভোটারদের দিকে কিংবা তৃতীয় কোনো দলের সমর্থকদের দিকে।চলতি বছরের নির্বাচন নিয়ে রয়টার্সের জরিপে বলা হয়, তৃতীয় কোন দলের সমর্থকদের মধ্যে ৬১ শতাংশই বাইডেনের পক্ষে থাকবেন, যেখানে ট্রাম্পের পক্ষে থাকবে মাত্র ৩৯ শতাংশ সমর্থন।
প্রায় ৭০ শতাংশ তৃতীয় পক্ষের ভোটাররা বলছেন, তারা ট্রাম্পের কার্যাবলীর কারণে তাকে প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ তারা মনে করছেন যে ট্রাম্পের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে এগোচ্ছে। আর প্রায় ৬২ শতাংশ বলছেন, ট্রাম্পের ভুল পদক্ষেপের কারণে মার্কিন অর্থনীতি আক্রান্ত হয়েছে। এই অংশটি আমেরিকার করোনা পরিস্থিতি নিয়েও বিবেচনা করছেন।৮ থেকে ১০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করছেন, তারা তাকেই ভোট দেবেন যিনি করোনা
পরিস্থিতিতে মার্কিন জনগণের পাশে থাকবে এবং করোনায় বিপর্যস্ত মার্কিন এছাড়াও নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ২৪ শতাংশ ভোটারদের চাওয়া,তারা তাকেই সমর্থন দেবেন যিনি মার্কিন সরকারের উপর বিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে পারবেন । আর ১২ শতাংশ ভোটার মনে করেন, যিনি শাসক হিসেবে দেশটির জনস্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখবেন।