চীনা দূতাবাস গুপ্তরচরবৃত্তির কেন্দ্র: মাইক পম্পেও

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০২০, ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ
চীনের সঙ্গে সংঘাতকে নতুন মাত্রা দিয়ে সম্প্রতি টেক্সাসের হিউস্টনের চীনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।এবার সেই পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।তার দাবি গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল চীনা দূতাবাসটি।শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের চীনা দূতাবাস সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে পম্পেও সাফ বলেন,এই সপ্তাহেই আমরা হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।ওই জায়গাটি চরবৃত্তির ও তথ্যচুরির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।
বিগত ৮ বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা আগ্রাসনের দিকে আমরা মুখ ফিরিয়ে ছিলাম। কিন্তু দু’সপ্তাহ আগে সেই নীতি আমরা ত্যাগ করেছি। এবার আন্তর্জাতিক আইন মেনে ওই অঞ্চলের ব্যবসা ও বাণিজ্যের স্বাধীনতা বজায় রাখব আমরা। শুধু তাই নয়, পম্পেও আরো বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মি সাধারণ সেনা থেকে সম্পূর্ণ আলদা। দেশের জনতাকে সুরক্ষা দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের কাজ হচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশ মেনে সাম্রাজ্য বিস্তার করা। তাই চীনা আগ্রাসন রুখে দিতে আমরা একটি স্পেস ফোর্স বানিয়েছি।পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও ওই চীনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলেছেন।
তাঁর দাবি হিউস্টনের চিনা কনসুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়। মার্কিন ন্যায়বিচার দপ্তর এরইমধ্যেই মার্কিন সংস্থা থেকে কেভিড-১৯ মহামারী সংক্রান্ত ওষুধপত্রের গোপন নথি চুরির চেষ্টার দায়ে দুজন চীনা হ্যাকারকে অভিযুক্ত করেছে। ওই দুজনকে অভিযুক্ত করা চীনা কনসুলেট বন্ধের নির্দেশের মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, চীন হিউস্টনের দূতাবাস থেকে পুরো দেশে ঘৃণ্য কাজকর্ম চালায়।বিশ্লেষকদের মতে, দূতাবাস বন্ধের মার্কিন নির্দেশ সহজে মেনে নেবে না চীন। এই মুহূর্তে বেইজিং-সহ চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে কোনও একটি দূতাবাস বন্ধরে নির্দেশ দিতে পারে শি জিনপিং প্রশাসন। কয়েকদিন আগেও দু’দেশেই পরস্পরের একাধিক কুটনীতিকের ভ্রমণের উপর ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।