প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিরব ভোটাররাই আবার আমাকে বিজয়ী করবে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০২০, ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিরব ভোটাররাই আবার আমাকে বিজয়ী করবে,মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর প্রায় ১০০ দিন বাকি আছে।এরই মধ্যে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রেসিডেন্ট জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন।তার দাবি, নীরব ভোটাররাই আগামী নির্বাচনে তাকে জয়ী করবে।কারণ এসব ভোটারের সংখ্যাই যুক্তরাষ্ট্রে বেশি। খবর ডয়চেভেলে ও রয়টার্সের করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনীতির ওপর এর মারাত্মক প্রভাব এবং পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কার্যত সব জনমত সমীক্ষায় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে। যদিও এসব জরিপ সঠিক ফল দেবে তাও ঠিক নয়। কারণ ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন জরিপে এগিয়ে থাকলেও জয় শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পই পেয়েছিলেন। রবিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোটারদের মন জয় করতে প্রচারণা শুরু করেছেন। তার মতে, নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররাই তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন।
এক টুইটার বার্তায় তিনি দাবি করেন, অনেকের মতে তার প্রচারণায় যেভাবে উত্সাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা আমেরিকার ইতিহাসে অনেক প্রচার অভিযানের সময় দেখা যায়নি। এমনকি এই প্রচার অভিযান ম্লান করে দিচ্ছে তার ২০১৬ সালের প্রচার অভিযানকে। বাইডেনের প্রচারে কোনো উত্সাহ-উদ্দীপনা নেই উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা ৩ নভেম্বর কথা বলবেন। ভুয়া সমীক্ষা ও ভুয়া খবর মৌলবাদী বাম শক্তিকে বাঁচাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
জো বাইডেনের দাবি, তিনি আমেরিকার আত্মার জন্য লড়াই করছেন। তিনি ট্রাম্পের ক্ষমতা একটি কার্যকালের মধ্যেই সীমিত করার ডাক দিয়েছেন। টুইটার বার্তায় বাইডেন বলেন, আর ১০০ দিন পর দেশকে নতুন পথে পরিচালিত করার সুযোগ আসছে। যে পথে আমরা আমাদের আদর্শ পূরণ করতে পারি এবং সব মানুষ সাফল্যের ন্যায্য সুযোগ পান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কংগ্রেসে এবার রেকর্ডসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ নারী লড়াই করছেন। আরকানসাসের কৃষ্ণাঙ্গ নারী জয়সি এলিয়টের মতে, এবারের নির্বাচন আমাদের ইতিহাস পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। তার মতো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবারের কংগ্রেস নির্বাচনে লড়াই করছেন। সেন্টার ফর আমেরিকান উইমেন অ্যান্ড পলিটিক্স (সিএডব্লিউপি)-এর তথ্যমতে, অন্তত ১২২ নারী আবেদন করেছেন। ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। এরই মধ্যে ৬০ জন লড়াইয়ে আছেন। আমেরিকার জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৩ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ নারী।