দক্ষিণ সুনামগঞ্জ: অর্থের অভাবে লেখাপড়া অনিশ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থী শাহিদার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্ধি বসিয়াখাউরী বড়মোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে শাহিদা বেগম মেধাবৃত্তি পেয়েছে। শাহিদা বেগম উপজেলার বড়মোহা গ্রামের বদরুল ইসলাম ও হাসনা বেগমের মেয়ে। সে তার ভাই-বোনদের মধ্যে ৫ম। শাহিদার পিতা এলাকার পাশবর্তী মধ্যে হাসকুরী গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করে পরিবারকে নিয়ে জীবন যাপন পরিচালনা করে আসছেন। শাহিদা বেগম ৫ম শ্রেণীর সমাপনীতে মেধাবৃত্তি, জেএসসিতে মেধাবৃত্তি ও এসএসসিতেও মেধাবৃত্তি অর্জন করেছে। সুনামগঞ্জ জেলায় মানবিক বিভাগে ২টি ট্যালেন্টপুল বৃত্তির মধ্যে শাহিদা বেগম অন্যতম।
ইতিমধ্যে শাহিনা সিলেট সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তির জন্য প্রথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত। কোন প্রতিষ্টান বা হৃদয়বান কোন ব্যক্তি যদি তার পড়া লেখার সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে তার জীবন গড়ার নিশ্চয়তা হত।
কথা হলে শাহিদা বেগম জানায়, আমার পিতা খুব কষ্ট করে পড়া লেখা করিয়ে এই পর্যন্ত এনেছেন। এবং আমার ফলাফলের পেছনে আমার শিক্ষকদের অবদান অনশিকার্য। আমার লেখাপড়া এখন দারিদ্রের করালগ্রাসে থেমে গেছে।
শাহিদার পিতা মাওলানা বদরুল ইসলাম বলেন, আমি ইমামতি করে সংসার পরিচালনার পাশা পাশি আমার মেয়েকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। মেয়ের পড়া লেখা করার ইচ্ছা কিন্তু তাকে পড়া লেখা করানোর মত আমার সামর্থ নেই। তিনি আরও বলেন কোন সামর্থবান বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তা হলে আমার মেয়েটার পড়া লেখাটা চালিয়ে যেতে সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে জেবিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিবাস চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান তার জন্য গর্বিত; তবে এই মেয়েটির পরিবার অসচ্ছল, আমার শিক্ষক স্টাফ সাধ্যানুযায়ী সহযোগিতা করব।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা (মাধ্যমিক) একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নুরে আলম সিদ্দিকী এ প্রতিবেদকে বলেন, মেয়েটির খুবই মেধাবী, তবে তার পরিবার আর্থিক অসচ্ছল, আমার অফিসের মাধ্যমে কোন সুযোগ হলে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।