দলই চা বাগান খোললেও কাজে যায়নি শ্রমিকরা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২০, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ
: ব্যাক্তি মালিকাদিন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দলই চা বাগান দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্ধ থাকার পর বাগান খোলা ও সমস্যা নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গলস্থ কার্যালয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মাঝে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুক্রবার সন্ধ্যয় চা বাগান খোলার নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে শ্রমিকদের দাবী না মানায় শনিবার সকালে দলই চা বাগানের কোনো শ্রমিক কাজে যোগ দেয়নি।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী ও মনু-দলই ভ্যালীর সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলাকালে বে-আইনিভাবে ঘোষণা দিয়ে গত ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় দলই চা বাগান বন্ধ করেছিল কোম্পানি।
এ ঘটনা নিয়ে এক বৈঠকের নির্দেশনা মতে ১৯ আগস্ট থেকে চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত হলেও তা অমান্য করে রাতেই দলই চা বাগানে প্রবেশ করেছিলেন বিতর্কিত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম। পরদিন চা বাগান কোম্পানির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক খালেদ মঞ্জুর খান বাগানে প্রবেশ করা নিয়ে উত্তেজনার মাঝে দুইজন নারী চা শ্রমিক লাঞ্ছিত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ লোকজন সহকারী মহা-ব্যবস্থাপককে লাঞ্ছিত করে তার গাড়ির কাচ ভেঙেছিলেন।
এ নিয়ে একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে কমলগঞ্জ থানায় হামলা ভাঙচুর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেন খালেদ মঞ্জুর।
দলই চা বাগান খোলা ও সমস্যা সমাধান নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে দলই চা বাগান কোম্পানি প্রতিনিধি, চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও দলই চা বাগানের শ্রমিকদের আলোচনা চলছিল।
আলোচনা কবে চা বাগান খোলা হবে ও কবে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে এর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার নোটিশ দিয়ে শনিবার থেকে দলই চা বাগান খোলার নোটিশ দেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু শ্রমিকদের দাবি আগে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ব্যবস্থাপককে বদলি করা হোক তারপর চা বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেবে।
নাম প্রকাশ না করে দলই চা বাগানের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, কোম্পানির নির্দেশে নোটিশ দিয়ে শনিবার থেকে দলই চা বাগান খোলা হয়। শনিবার সকালে ধলই চা বাগানের অফিস খোলে মাস্টারিং-এর কাজ করতে চাইলে চা শ্রমিকেরা অফিস খোলে কাজ করতে দেয়নি ও চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেয়নি। এসব বিষয়ে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
এ সম্পর্কে জানতে শ্রম-অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের উপ-পরিচারক নাহিদুল ইসলামের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।