হত্যার চেষ্টা শ্যালককে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুলাভাই গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২০, ৬:২১ অপরাহ্ণ
হত্যার চেষ্টা শ্যালককে গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুলাভাই গ্রেপ্তার,রাজবাড়ীর পাংশায় মো. ফরহাদ হোসেন (২৫) নামে এক শ্যালককে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে বড় বোনের সঙ্গে সদ্য ডিভোর্স হওয়া দুলাভাই। পুলিশ ওই দুলাভাইকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকালে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।গুপ্তার হওয়া দুলাভাইয়ের নাম, আলামিন মন্ডল (৩২)। সে জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের গ্রামের রুপিয়াট গ্রামের মো. আজিজ মন্ডলের ছেলে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, ফরহাদ হোসেনের বড় বোনের মাহফুজা আক্তার পাখি (২৯)-এর সঙ্গে প্রায় ৮ বছর পূর্বে মো. আলামিন মন্ডলের বিয়ে হয়।বর্তমানে তাদের সংসারে তাবাছুম (৭) ও আব্দুল্লাহ (৫) নামে দুই ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। এক মাস আগে আলামিন মন্ডল বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোছা. মাহফুজা আক্তার পাখির। এর পর পরই পাখি তার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে একই ইউনিয়নের-দড়ি চৌবাড়ীয়ার বাবা মো. হারুন অর রশিদের বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেন।
এ ঘটনার পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে আলামিন মন্ডল তার স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১টি রামদা নিয়া পাখির বাবার বাড়িতে আসে। সেই সঙ্গে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই বাড়ির একটি ঘরের ভেতরে গিয়ে দরোজা বন্ধ করে দেয়। সে সময় পাখির ভাই ফরহাদ আলামিনকে চলে যেতে বলে।
এতে আলামিন ক্ষিপ্ত হয়। সে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ফরহাদকে খুন করার উদ্দেশ্যে পর পর ৩টি গুলি করে। যে গুলিগুলো ফরহাদ হোসেনের ডান ও বাম হাতের বাহু, মাথার ডান পাশে, কাঁধের ওপর গলা বরাবর ডান পাশে, পিঠের ডান পাশে বৃদ্ধ হয়।এতে ফরহাদ গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। গুলির শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আলামিন ঘরের মধ্যে পুনরায় ঢুকে দরোজা বন্ধ করে বিষপান করে। খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আলামিনকে গ্রেপ্তার।
সেই সঙ্গে একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ৩ রাউন্ড ফায়ারকৃত কার্তৃজ ও একটি ছোট চাপাতি উদ্ধার করে।অসুস্থ অবস্থায় আসামি আলামিনকে এবং গুরুতর অবস্থায় ফরহাদ পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া ভর্তি করে। তবে ফরহাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।