ধর্ষণের শিকার চলন্ত বাসে ডাইভার ও হেলপার গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২০, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
ধর্ষণের শিকার চলন্ত বাসে ডাইভার ও হেলপার গ্রেপ্তার,রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলীতে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৪)। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর অচেতন অবস্থায় তাকে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় মিরপুর-১ নম্বর সেকশন এলাকায়। সেখানকার লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর কিশোরীকে উদ্ধার করে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ।অবশেষে বুধবার রাতে ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে বাসচালক মোহাম্মদ রাফি ও হেলপার বিদ্বান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সমকালকে বলেন, ওই কিশোরী একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বাবা-মা নেই। পালিতকন্যা হিসেবে পল্লবীর আলুব্দী এলাকার একটি পরিবারের সঙ্গে থাকে। মঙ্গলবার সে আব্দুল্লাপুর থেকে চিড়িয়াখানা রোডে চলাচল করা শতাব্দী পরিবহনের বাসে ওঠে। আমিনবাজারে এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তার। তবে বোকাসোকা ধাঁচের ওই কিশোরীকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে বাস থেকে নামতে দেয়নি চালক ও হেলপার। এমনকি সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পর চিড়িয়াখানা রোডে বাসটি পরিষ্কার করার সময়ও সে বাসে ছিল। এরপর চলন্ত বাসে রাফি ও বিদ্বান পালা করে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মিরপুর-১ নম্বরের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এলাকায় তাকে ফেলে পালায় ধর্ষকরা। অচেতন কিশোরীর পড়ে থাকার খবরে একাধিক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে দেখা যায়, ঘটনাস্থল শাহ আলী থানায় পড়েছে। এ ঘটনায় রাতেই মামলা নেওয়া হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় কিশোরীর।
শাহ আলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জাহিদুর রহমান জানান, মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে দু’জন গ্রেপ্তার হলেও তাদের এক সহযোগী এখনও পলাতক রয়েছে। তাকেও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে শাহ আলীর নতুন সি-ব্লকের এক নম্বর সড়কের বাসায় ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় বুধবার গৃহকর্তা পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার ভাড়া বাসাতেই সাবলেট থাকতেন ভুক্তভোগী তরুণী। তারা দু’জনই পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানা গেছে।