পারমাণবিক বোমার মতো শক্তিশালী ছিল বৈরুতে বিস্ফোরণ বোমার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২০, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
পারমাণবিক বোমার মতো শক্তিশালী ছিল বৈরুতে বিস্ফোরণ বোমার,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছে শোকে স্তব্ধ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ,লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বন্দরের একটি ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে হাজার হাজার টন অত্যন্ত বিপজ্জনক দ্রব্য মজুত রাখাকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই বিস্ফোরণ ছিল পরমাণু বোমার মতো শক্তিশালী এবং এর ধাক্কা পুরো রাজধানী জুড়ে ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়েছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহতের ঘটনায় গতকাল থেকে তিন দিনের শোক পালন শুরু করেছে লেবানন।বৈরুতের বাসিন্দারা বলছেন, বিস্ফোরণে পুরো শহর কেঁপে উঠে।
এতে এই শহরের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত ভবনের জানালা, দরজা উড়ে গেছে। কম্পন অনুভূত হয় ২৪০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসেও, সেখানকার বাসিন্দারা এ ঘটনাকে ভূমিকম্প বলে মনে করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এটিএফ বিস্ফোরক তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যান্থনি মে বিস্ফোরণের মাত্রা এবং শহর জুড়ে প্রবল কম্পনের ব্যাপারে বলেন, এটা কিছুটা এক কিলোটন ওজনের পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মতো ছিল। তিনি বলেন, এই বিস্ফোরণে পারমাণবিক কোনো পদার্থ ছিল না। কিন্তু সেখানে যে কম্পন তৈরি হয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেগুলো একটি ছোট আকারের পারমাণবিক বোমার সমতুল্য।
খবর বিবিসি, সিএনএন, হেরাল্ড সান এবং ফোর্বসের।লেবাননের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বন্দরের কাছের একটি আতশবাজির কারখানায় প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।আতশবাজির কারখানার আগুন আশপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ায় অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুতের গুদামে মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে।কিন্তু দেশটির রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের কাছে কীভাবে এই বিপজ্জনক দ্রব্য মজুত করা হলো, ছয় বছর আগে জব্দ করা হলেও সেগুলো কেন ধ্বংস করা হয়নি, পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কেন সেগুলো সেখানে এতদিন থাকল, এমন নানা প্রশ্ন উঠেছে।লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন,
বিস্ফোরণস্থলের ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনো কাজ কারছেন উদ্ধারকর্মীরা।ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।দেশটিতে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম গুলো। লেবানন রেড ক্রসের প্রধান জর্জ কেটানি বলেন, আমরা একটি মারাত্মক বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হলাম।বৈরুতের সবখানেই এখন আহত আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।পরিস্থিতি সামলাতে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট। করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তাও চাওয়া হয়েছে