এখনও কেউ করোনা ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:০২ অপরাহ্ণ
আগামী ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত গণহারে করোনা ভ্যাকসিন আসবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, এখন পর্যন্ত কেউ ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কার্যকারিতাও দেখাতে পারেনি।
শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যাপারে আশা করা যাচ্ছে না। কারণ, এখন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর যাচাই-বাছাইয়ে মনোযোগ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
হ্যারিস বলেন, উন্নত ক্লিনিকাল পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কেউই তাদের ভ্যাকসিনের অন্তত ৫০ শতাংশ কার্যকারিতারও ‘স্পষ্ট সংকেত’ দেখাতে পারেনি।
যদিও রাশিয়া দুই মাসেরও কম সময় মানবদেহের পরীক্ষার পর আগস্টে কোভিড ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর গত বৃহস্পতিবার মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, অক্টোবরের শেষের দিকে তাদের একটি ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। যা ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সরবরাহ করার কথা ভাবছে দেশটি। তারা মনে করছেন, এই ভ্যাকসিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র বলছেন, আমরা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে ব্যাপকহারে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা করছে না সংস্থাটি।
মুখপাত্র মার্গারেট বলেন, ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়টি আরও বেশি সময় নিয়ে করতে হবে, এতে আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবো যে, তা কতোটা নিরাপদ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এটি ভ্যাকসিন গবেষণার সময় বলা হয়েছিলো যে, প্রচুর সংখ্যক জনসাধারণের মাঝে ট্রায়ালের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ট্রায়াল থেকে সমস্ত তথ্য ভাগ করে নিতে হবে এবং অন্যটির সঙ্গে তুলনা করতে হবে। মূলত আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে, ভ্যাকসিন মানবদেহে সঠিকভাবে কাজ করে কিনা। কিন্তু এখনো আমরা সেভাবে কোনো ভ্যাকসিনের সংকেত পাইনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভেক্স নামে একটি সম্মিলিত ভ্যাকসিন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে, যার লক্ষ্য সারাবিশ্বে সুষ্ঠু ও সমানভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। এক্ষেত্রে সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণদের ভ্যাকসিন দেওযা হবে।
সম্মিলিত এই কর্মসূচিতে ১৭০টি দেশ অংশ নিলেও যুক্তরাষ্ট্র থাকছে না। দেশটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত দাবি করে, সম্মিলিত ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে যুক্ত না হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।