বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করতে দুই ডজন আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
করোনা মহামারির মধ্যে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে পড়েছে। দেশে পাঠদান চালু থাকা ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যখন এমন প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছে, তখন নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আরও অন্তত দুই ডজন আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এসব আবেদনের নেপথ্যে সরকারদলীয় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিও রয়েছেন। বেশিরভাগ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরিদর্শক দল। মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বাকি রয়েছে। শিগগিরই সেগুলোর ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যাবেন ইউজিসির সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রস্তাবিত নতুন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের প্রস্তাবের বিষয়ে ইউজিসির মতামত চেয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির পরিদর্শক দল এসব আবেদনের বিষয়ে তাদের মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় উইং সূত্রে জানা গেছে, যেসব আবেদনের বিষয়ে ইউজিসির ইতিবাচক মতামত রয়েছে, সেগুলো বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়ে থাকে।
নতুন আবেদনগুলোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠানোর কথা স্বীকার করে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, নতুন আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাবলি সরেজমিনে যাচাই করতে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা সরেজমিন গিয়ে আবেদনের সত্যাসত্য যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এগুলো অনুমোদন পাবে কি পাবে না, তা সরকারের সিদ্ধান্ত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইউজিসির দেওয়া পরিদর্শন প্রতিবেদনের মধ্যে কয়েকটির বিষয়ে ইতিবাচক মতামত দেওয়া হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের কয়েকটি প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কুষ্টিয়া, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, জয়পুরহাট, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও রাজধানীর মিরপুরে স্থাপনের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য, স্থানীয় পর্যায়ের নেতা ও প্রবাসী কয়েকজন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন।
যারা অনুমোদন চান :জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় `লালন বিশ্ববিদ্যালয়` নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন করেছেন ফৌজিয়া আলম। তিনি কুষ্টিয়া সদরের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফের সহধর্মিণী। জয়পুরহাটে `মডার্ন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি` প্রতিষ্ঠা করতে চান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রোস্তম আলী। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে `শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়` প্রতিষ্ঠা করতে চান রাজধানীর রমনা-তেজগাঁও এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবাল। তিনি রাজধানীর বনানীতে `রয়েল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা` নামে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক। ২০০৩ সালে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০০৪ সালে রয়েল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম শুরু হয়।
ইউজিসি থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে শিগগিরই যাবে ইউজিসির পরিদর্শক দল।
রংপুরের তাজহাট রোডে `শ্যামলী আইডিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি` প্রতিষ্ঠা করতে আবেদন করেছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তিনি শিক্ষা বিস্তারে খুব ভালোভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চালাবেন।
ঢাকায় `ইউনিভার্সিটি অব এগ্রি বিজনেস` প্রতিষ্ঠা করতে আবেদন করেছেন এএমএস সালেহ। তার পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। গাজীপুরের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জয়দেবপুরের চান্দগাঁও এলাকায় `বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রি বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি` প্রতিষ্ঠা করতে আবেদন করেছেন। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের নেতারা আবেদন করেছেন `চিটাগং মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি` প্রতিষ্ঠার। অ্যাডভোকেট মো. আরমান আলী নামে একজন রাজশাহীর বোয়ালিয়া এলাকায় প্রতিষ্ঠা করতে চান `সোনার বাংলা ইউনিভার্সিটি।` যদিও এরই মধ্যে রাজশাহীতে একই নামে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে `আন্তর্জাতিক পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়` গড়তে চান সেখানে বৌদ্ধ সংঘের সাধুরা।
সূত্র জানায়, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে `স্কিলড এনরিচমেন্ট ইউনিভার্সিটি` নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান ড. মোয়াজ্জেম হোসেন নামে এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদও সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। চাঁদপুরে `অ্যাপোলো ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি` নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক ভূঁঁইয়া।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে `ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম` নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর আবেদন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মাহমুদ। তার সঙ্গে রয়েছেন অপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় `আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামে`র আ. ন. ম. শামসুল ইসলামও। তারা দু`জনই স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বগুড়ায় `দ্য ইউনিভার্সিটি অব বগুড়া` নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন করেছেন জনৈক বদিউল ইসলাম ও ড. ইয়াসমিন আরা লেখা। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ জনই একই পরিবারের সদস্য বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়। ড. ইয়াসমিন আরা লেখা বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য। তার স্বামী ড. এম আজিজুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও উপাচার্য। তারাই মূলত বগুড়ায় আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে চান। ড. এম আজিজুর রহমানের বাড়ি বগুড়ায় বলে জানা গেছে। রাজধানীর মিরপুরে `সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি` প্রতিষ্ঠা করতে আবেদন করেছেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের মেয়ে নূসরাত নূর বাঁধন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও আটজন সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। মিরপুরে `সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ` নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন করেছেন সাবেক এমপি ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজাও। তিনি জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন।
এ ছাড়া পটুয়াখালীর খলিশাখালীতে `সাউথ রিজিয়ন ইউনিভার্সিটি`র জন্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, রংপুরে `রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে`র জন্য পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, ময়মনসিংহের ক্রিস্টাপুরে `রওশন এরশাদ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ`র জন্য বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউতে `জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স`র জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. এম জুবাইদুর রহমান, পুরানা পল্টনের প্রীতম জামাল টাওয়ারে `ইউনিভার্সিটি অব মডার্ন টেকনোলজি, ঢাকা`র জন্য আবেদন করেছেন মো. আবু নোমান হাওলাদার, গাজীপুরে `কামাল উদ্দিন আহমেদ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি`র জন্য আবেদন করেছেন নিকেতন এলাকার বাসিন্দা কামরুন নেসা রত্না, `ইন্টারন্যাশনাল কালচার ইউনিভার্সিটি ভার্চুয়াল`র জন্য সুলতান রাজ্জাক, সিলেট সদরের টিবি গেট এলাকায় `আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি`র জন্য আহমদ আল কবির, মুন্সীগঞ্জের রাজরাগজনিতে `ইউনিভার্সিটি অব অতীশ দীপঙ্কর`র জন্য আবেদন করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ।
ইউজিসি জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৬টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৯৬টির। বাকিগুলো একেবারেই নতুন। শুধু রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৬২টি। এর অনেকগুলোই সারাবছর শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে।
সরকার সর্বশেষ গত ২ জুন রাজধানীর উত্তরায় `মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি` প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়।
আগেরগুলোও ভালো চলছে না :শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন করতে হলে প্রাথমিকভাবে ২৩টি শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ ২১ কিন্তু কমপক্ষে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা ইত্যাদি।
ইউজিসি সূত্র জানায়, এর আগে নতুন অনুমোদন পাওয়া ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শিক্ষা কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি।
পুরোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সরকার ছয় দফা সময় দিলেও এখন পর্যন্ত ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সম্প্রতি সরকারের কাছে নতুন করে সময় চেয়েছে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্নের পাশাপাশি সেগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষা বাণিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষাবিদদের ভাবনা :চিন্তাভাবনা না করে একের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিলে তাতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বাড়বে বলে দেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদরা মত প্রকাশ করেছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সমকালকে বলেন, যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্তমানে আছে সেগুলোই ভালো চলছে না। এর অধিকাংশই একেকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। প্রকৃত অর্থে শিক্ষা বিস্তারের আগ্রহ বা সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এগুলো প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। তাই নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়ার আর কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না।
তিনি বলেন, তবে দেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদা আছে এবং সে কারণে আরও বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা দরকার। সে ক্ষেত্রে বড় বড় পুরোনো কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়রূপে গড়ে তোলা যেতে পারে।
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান সমকালকে বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হবে কি হবে না, তা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। ইউজিসির এ ব্যাপারে করণীয় কিছু থাকে না; এমনকি নতুন আবেদনকারীদের অনুমোদন দেওয়া উচিত কি উচিত নয়, সেটিও ইউজিসির কাছে জানতে চাওয়া হয় না। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক হয়ে গেছে। নতুন আর প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা ভাবা দরকার। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটা হোক আর ১০টা হোক, যাদের তা চালানোর যোগ্যতা আছে- তাদেরই দেওয়া হোক। যোগ্য শিক্ষক সেখানে আছে কিনা তা সবার আগে দেখতে হবে।