আবর্জনার স্তুপের নদীতে কাগজের নৌকা ভাসানোর স্থানও পাওয়া যায়নি

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
সিলেটের বিশ্বনাথের এক সময়ের খরশ্রোতা বাসিয়া নদীর দুই তীর দখল আর ময়লা আবর্জনার স্তুপের কারণে কাগজের নৌকা ভাসানো’র স্থানও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ‘নদীর নব্যতা ফেরত পাওয়ার দাবিতে কাগজের নৌকা ভাসানো’ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘নোঙর’ ‘বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ’ ও ‘উপজেলা মানবাধিকার কমিশনে’র যৌথ উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু উপজেলা সদরের ভেতরে কোথাও সেই নৌকাগুলো ভাসানোর স্থান পাওয়া যায়নি। অবশেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপজেলা পরিষদের ঘাটে চলে যান। কিন্তু সেই ঘাটেও জমে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। অনেক কষ্টের মধ্যে হলেও নিরুপায় হয়ে সেই ময়লা আবর্জনার ঘাটেই নৌকা ভাসিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচি পালন কালে বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে আজ নদীকে নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে নাগরিকদের কর্মসূচি পালন করতে হয়। অতীতে এই বাসিয়া নদীতে বড় বড় পণ্যবাহি ও পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। এখন নদীতে দখল আর দূষণের কারণে বড় বড় নৌকাতো দুরের কথা একটি ডিঙ্গি নৌকাও দেখা যায়না। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ ঘাটে পরিবেশ ও নদী প্রেমিরা বিভিন্ন রংয়ের কাগজের নৌকা নিয়ে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে প্রতিকি কর্মসূচি পালন করেন। নদীতে এসব নৌকা ভাসিয়ে দেয়ার পর সেখানে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খানের সভাপতিত্বে ও ধ্রুবতারা’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাতিনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নোঙর’র চেয়ারম্যান সুমন শামস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপা সিলেটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বাংলাদেশ পল্লী ফোরামের চেয়ারম্যান চৌধুরী আলী আনহার শাহান, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম মাছুম ও সিলেটের ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সমন্বয়কারি শাহ নাজিম উদ্দিন।