বিকল্প পাঁচ দেশ থেকে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ব্যবসায়ীরা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০৫ অপরাহ্ণ
বিকল্প পাঁচ দেশ থেকে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ব্যবসায়ীরা চীন,মিয়ানমার,মিশর,পাকিস্তান ও তুরস্ক।
ভারত পেয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর বিকল্প দেশ থেকে পেয়াজ আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখন পর্যন্ত ৫টি দেশ থেকে মোট ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য অনুমোদন (পারমিট) নিয়েছেন দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন স্টেশন (সমুদ্র বন্দর)-এর উপ-ৌপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান বুলবুল এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,
ভারতের বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ থেকে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পারমিট সংগ্রহ করা শুরু করেছেন।চট্টগ্রাম প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন স্টেশন জানায়,সারাদেশের ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চীন,মিয়ানমার,পাকিস্তান,মিশর ও তুরস্ক থেকে মোট ১০,০৯১ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন নিয়েছে।ড.আসাদুজ্জামান জানান,তারাও দ্রুততার সাথে পারমিট সরবরাহ করার চেষ্টা করেছেন যাতে আটকে থাকা আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ছাড়িয়ে আনা যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞা জারির পর চট্টগ্রামের পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারী বিক্রেতারা জানান, সোমবার ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মঙ্গলবার দাম আরও বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।অন্যদিকে খুচরা বাজারে সোমবার পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার আশেপাশে থাকলেও মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য কম সরবরাহকে দায়ী করেছেন। সোমবার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। এরপর থেকেই বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম।প্রসঙ্গত,গত বছরের মতো এবারও বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজ উৎপাদনে ধ্বস নামে।যার প্রভাবে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত।