বিশ্বনাথে মারধরের অভিযোগে ভাসুর জেলে

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:০১ অপরাহ্ণ
সিলেটের বিশ্বনাথে কলেজ ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে ভাসুরকে গ্রেফতার করে জেলে দিয়েছে থানা পুলিশ। ছোট ভাইয়ের স্ত্রীরকে মারধর ও তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে ভাসুরকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। অভিযোগে জানা গেছে উপজেলার শ্রীধরপুর (কাউপুর) গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাটি সংগঠিত হয়। এরপর ঐ ছাত্রী জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বার কল করে অভিযোগ দিলে, থানা পুলিশ তথ্য পেয়ে থানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে উদ্ধার করে ও হামলাকারী ভাসুরকে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসে।
এঘটনায় উপজেলার শ্রীধরপুর (কাউপুর) গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম (২৩) বাদী হয়ে হামলাকারী ভাসুর এনাম আহমদ (৩৫)’কে একমাত্র অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৪ (তাং ২৯.০৯.২০ইং)।
মামলার লিখিত অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, বাদীর উপর হামলাকারী ভাসুর তার (বাদী) স্বামীর সৎ ভাই। তারা উভয়েই একই বাড়ির পাশাপাশি ঘরে বসবাস করে আসছেন। পূর্ব থেকেই অভিযুক্ত এনাম আহমদের সহিত বাদীর মনোমালিন্য চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটের সময় বাদীর ভাসুর এনাম আহমদ মোবাইল ফোনে কথা শুনিয়া রাগান্বিত হয়ে বাদীকে গালিগালাজ করেন। বাদী গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় বিবাদী রাগান্বিত হয়ে বাদী আয়েশা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
এতে বাদীর নিলাফুলা জখম হয়। এক পর্যায়ে বাদী আয়েশা বেগমকে ঘরের ভিতর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দরজা তালাবদ্ধ করে রাখে গ্রেপ্তারকৃত এনাম আহমদ। এরপর বাদী মোবাইলে তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে কোন সাড়া না পেয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। আর ৯৯৯ থেকে তথ্য পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে বাদীকে উদ্ধার ও হামলাকারী ভাসুরকে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও হামলাকারী এনাম আহমদকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা।