গ্রামাঞ্চলে উঁকি দিচ্ছে শীত
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২০, ১১:১০ পূর্বাহ্ণহেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বা ঘাস ও পথঘাট। সূর্যের আলোতে শিশির দানামুক্তার মতো জ্বল জ্বল করে জানান দিচ্ছে, এসেছে শীত। কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিগন্তে সূর্যের উদয়। শীতের আমেজ না, সত্যিকারের শীত।
গতকাল ভোরে সিলটবাসীকে জানান দিয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। তবে জাঁকিয়ে বসেনি এখনো। লেপ, কম্বল বের করতে শুরু করেছে বাড়ির গৃহিণীরা। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে অনেক গ্রামে শুরু হয়েছে আগাম ধান কাটা। দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীত আর দূরে নেই।
হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে হঠাৎ করেই শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পরেই বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে, আর ভোরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। একই সাথে গত দুইদিন ধরে রাতের বেলায় রাস্তায় বেশ কুয়াশা ও পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শীতকাল আসতে মাস খানেক বাকি থাকলে ও শীতের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঢের বার্তাই দিয়ে যাচ্ছে। সহজেই বুঝা যাচ্ছে শীত পড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিন ধরেই শায়েস্তাগঞ্জে সন্ধ্যার পর এবং ভোরের দিকে কিছুটা শীতের আভাস অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে শেষরাতে শীতের আমেজ বেশি মিলছে।
শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষ শীতকে বরণ করে নিয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়াগত কারণে অনেকটা আগেই শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে পুরোপুরি শীত পড়বে ডিসেম্বর থেকে।
এদিকে এখনও কার্তিক মাসের শেষ হয়নি। এ বছর শীত যেন অনেকটা আগে চলে এসেছে। দিনের বেলায় গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় গাছপালা বেশি সেসব এলাকায় ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে বেশি।
তবে শীতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকবে বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া শীতের সময় যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ বাড়ে। এ সময়ে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি কমে যায়। এ কারণে শীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা।
এদিকে সকালে পথঘাট হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। আমন ধানের পাতা আর ঘাসের ওপর ঝরছে শিশির কণা। রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে শীতের পিঠা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রস্তুতিও শুরু করেছেন শায়েস্তাগঞ্জের মানুষ। ইতোমধ্যে অনেককেই রাতের বেলায় ছাদর, সুইটার পড়ে বাইরে বের হতেই দেখা গেছে। সন্ধ্যায় ও ভোরে হাঁটা-হাঁটি শেষে জমছে চায়ের আড্ডা। শীতের এই সময়টি উপভোগের সুন্দর সময় বলে মনে করেন অনেক মানুষ