যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় সিলেটে জুমাতুল বিদা পালন
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০২১, ৪:০৩ অপরাহ্ণরমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে জুমাতুল বিদা’র দিনে নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই। সিলেটের প্রতিটি মসজিদেই দেশের শান্তি ও করোনা থেকে মুক্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
রমজানের শেষ জুমা আদায় করতে শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকেই সিলেটের হজরত শাহজালাল (র:) দরগাহ জামে মসজিদে সিলেটের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া হযরত শাহপরাণ (র:), সিলেটের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সিলেট কালেক্টর মসজিদ, কুদরত উল্লাহ মসজিদ, হাওয়াপাড়া জামে মসজিদ, সাদার পাড়া জামেয়া মসজিদ, আম্বরখানা জামে মসজিদসহ সিলেটের প্রত্যেক মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিছু কিছু মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মানা হলেও লোক সমাগম বেশি হওয়ায় অনেক মসজিদে মানা হয়নি সেই দূরত্ব। তবে অধিকাংশ মুসল্লির মুখে মাস্ক ছিল। সিলেটের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ সব মসজিদেই ঈদের নামাজের আগেই ফিতরার টাকা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়।
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা অধিক। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আসা রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও অধিকতর। বিশেষ করে এই মাসের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একইসঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদস দিবস। তাই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
বাংলা নিউজ এনওয়াই-এবিএ