কানাইঘাটে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষক পিটালেন ছাত্রের বাবা!

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে শ্রেণীকক্ষে ঢুকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষকের নাম ফারুক আহমদ। কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল দিঘীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সোনাপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র অভিভাবক মুজিবুর রহমান (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদ দুপুর ১২ টার দিকে দ্বিতীয় শ্রেনির পাঠদানের সময় শিক্ষার্থী মাহিয়ানুল ইসলাম (১০) শ্রেণীকক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষক ফারুক আহমদ তাকে শাসন করে অভিভাবককে ডেকে আনার জন্য বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
খবর পেয়ে অভিভাবক মুজিবুর রহমান দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছেলে মাহিয়ানুল ইসলামকে নিয়ে শিক্ষক ফারুক আহমদ কর্তৃক বেত্রাঘাতের অভিযোগ এনে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান থাকাবস্থায় এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর শুরু করেন।
একপর্যায়ে স্কুলের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ এগিয়ে এসে ফারুক আহমদকে উদ্ধার করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষক ফারুক আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন স্কুলের শিক্ষকরা।
আহত শিক্ষকের পক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ শিক্ষকনেতৃবৃন্দ মুহিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে শিক্ষককে মারধর করার পর মুজিবুর রহমান তার শিশুপুত্র স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিয়ানুল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিলে শিক্ষকের মারধরের সংবাদ অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিকেল ৫টার দিকে আহত শিক্ষকর ফারুক আহমদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মুজিবুর রহমানকে আটক করে।
মুজিবুর রহমানের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার সেকেন্ড অফিসার সোহেল মাহমুদ জানান, আহত শিক্ষক ফারুক আহমদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুজিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে মুজিবুর রহমানের অভিযোগ শিক্ষক ফারুক আহমদ তার ছেলেকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেত্রাঘাতসহ মারধর করেছেন। এঘটনার তিনি প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষককে শারীরিক ভাবে মারধর করেননি।
অপরদিকে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকসহ আহত ফারুক আহমদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীকে সামান্য শাসন করায় মুজিবুর রহমান শ্রেণী কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরন করেন।