হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুর ট্রাজেডি দিবস সোমবার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুর ট্রাজেডি দিবস আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর । ১৯৭১ সালের এ দিনে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার হাওর এলাকার অবহেলিত কৃষ্ণপুর গ্রামে নৃশংস ভাবে ১২৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনও বেঁচে আছেন আরও অন্তত ১৫/২০জ্ন। নিহত ১২৭ জনের মধ্যে পরিচয় পাওয়া ৪৫ জনের নামে একটি স্মৃতিস্বম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহত এ ৪৫ জনের নাম শহীদদের তালিকায় স্থান পায়নি।
ঐতিহাসিক কৃষ্ণপুর দিবস উপলক্ষে সেখানকার বধ্যভূমিতে এলাকাবাসী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা।
কৃষ্ণপুরের পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর। ১৬টি বাড়ি ছিল সেখানে। ৭১ সালে পাক বাহিনী সবকটি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এখন সেখানে একটি পুকুর রয়েছে। গ্রামের ছিটেফুটাও নেই।
স্থানীয়রা জানান খেলু রাজাকার ও লাল খা রাজাকার মিলিত হয়ে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে অবস্থানকারী পাক বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামের ১২৭জনকে হত্যা করে। অষ্টগ্রামের পাক সেনারা কৃষ্ণপুর গ্রামে ভোর বেলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা লাখাই উপজেলায় অবস্থানকারী পাক সেনারা বা শান্তি কমিটির কেউ জানত না।
কৃষ্ণপুরের গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয় মুড়াকরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা হয়েছে। চলছে স্বাক্ষ্য গ্রহণ। এরই মধ্যে গোপনে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন লিয়াকত আলী। এলাকাবাসী লিয়াকত আলীকে দেশে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবী জানান।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহির জানান, ৪৫ জনের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করছি। আশা করি দ্রুত বিষয়টির নিস্পত্তি হবে।