শ্রীমঙ্গলে গড়ে উঠছে ৩৩২ পুষ্টি বাগান

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:০৩ অপরাহ্ণ
পারিবারিক পুষ্টির চাহিদার যোগান, বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য চাহিদা পূরণে শ্রীমঙ্গলে গড়ে উঠেছে ১৬৬টি পুষ্টি বাগান। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এই ১৬৬টি পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছে শ্রীমঙ্গল কৃষি বিভাগ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গলে আরও ১৬৬টি পুষ্টি বাগান তৈরি করা হবে।
শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গলে জনপ্রিয় হচ্ছে পুষ্টি বাগান। অনাবাদি পতিত জমি ও বসত-বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ও ব্যক্তি উদ্যোগে কৃষকরা বাড়ির উঠান ও বাড়ির পাশের খালি জায়গায় এখন সবজি চাষ করছেন। এতে করে একদিকে যেমন যোগান দিচ্ছে পারিবারিক পুষ্টির অন্যদিকে উদ্বৃত্ত সবজি বিক্রি করে স্বচ্ছল হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলো।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি জানান, এসব পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার জন্য কৃষাণ-কৃষাণিদের নাম তালিকাভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দিয়ে জৈব সার, বীজ, রাসায়নিক সার, চারা, নেট, ঝাঝরি, কৌটা, মাল্টা, লেবু এবং ফলের চারা বিনামূল্যে কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও শীতের সবজি হিসেবে বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, ডাটা, গাজর, লাউ, করল্লা, শসা ও সীম চাষ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানো, বাড়ির আঙ্গিনাসহ অন্যান্য পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এসব পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে। পুষ্টি বাগানের ৪০ শতাংশ কৃষাণি ও ৬০ শতাংশ কৃষক নির্বাচন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং উপকরণ সরবরাহ করে এসব সবজি বাগান স্থাপন করা হয়েছে।
মোনালিসা সুইটি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং কোনো জমি পতিত রাখা যাবে না। তাই স্থানীয় কৃষি অফিস বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আরও ১৬৬টি পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে বরাদ্দ চলে এসেছে। কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে। এখন প্রশিক্ষণ ও উপকরণ প্রদান করা হবে। এ নিয়ে উপজেলায় পুষ্টি বাগানের মোট সংখ্যা দাড়াবে ৩৩২টি। কৃষি অফিস জানায়, এসব বাগান উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত দেখভাল করছেন। পুরো প্রকল্পটি মনিটরিং করছেন কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের কৃষাণি নাজমা বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশে কিছু জায়গা অনেকদিন ধরে পতিত ছিল। সেই পতিত জায়গায় আমি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সবজি বাগান করেছি। এ বাগান করার পর থেকে আমি বাজার থেকে কোনো সবজি ক্রয় করিনি বরং নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করেছি এবং আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিলি করেছি।