সভাপতি-সম্পাদকের বক্তব্য মিথ্যাচার,অগঠনতান্ত্রিক : মুকুট

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয় নি এবং আমাকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোরও কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয় নি। মূলত : জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এটি একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার। মিথ্যাচারের উপর ভর করেই দলীয় গঠনতন্ত্র লংঘন করে সভাপতি-সম্পাদক ‘অব্যাহতি’ নামক নাটক প্রচার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপকৌশল করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব নুরুল হুদা মুকুট এই কথা বলেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মুকুট বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই জরুরী সভায় এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয় নি এবং কেউ আমাকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ ও করে নি। এছাড়াও এই সভায় কোরাম হয়নি। অনেক পদধারি সদস্যদের দাওয়াত করা হয় নি। জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের এ ধরনের বক্তব্য একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার যা অগঠনতান্ত্রিক, অগনতান্ত্রিক, ও এখতিয়ার বহির্ভূত। আমি এসব বে-আইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের ৪৬ ধারায় বর্ণিত আছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে কারন দর্শানোর জন্য সুযোগ দানে সাধারন সম্পাদক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু আমাকে এখনো কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় নি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটরদের বিভ্রান্ত করতেই তারা এ সকল কার্যকলাপ করছেন। তিনি আরো বলেন, আমি কোনদিন ও দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করি নি। যদি আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী দলীয় প্রতিক নৌকা পেতেন তাহলে আমি অবশ্যাই নির্বাচন বর্জন করতাম। স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন আগে তাদের বহিষ্কার করা উচিত। যারা বিগত দিনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্হানীয় ও জাতীয় নির্বাচন করেছেন।
আ’লীগের দুঃসময়ে সুনামগঞ্জের রাজপথে থেকে লড়াই করেছি,দলকে আগলে রেখেছি। তখন কোন অতিথি পাখিকে সুনামগঞ্জের রাজপথে দেখা যায় নি। এখন আ’লীগের সু-সময়ে তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের রাজপথে বিএনপি এখন বড় বড় মিছিল বের করছে। আর জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক আয়েশি সময় কাটাচ্ছেন। তাই জেলা আ’লীগকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি নতুন কমিটি গঠনের আহব্বান জানান। নতুন নেতৃত্ব দরকার যারা বিএনপি জামায়াতকে মোকাবেলা করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল কবির শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু শঙ্কর চন্দ্র দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আব্দুল করিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এড. আজাদুল ইসলাম রতন, বন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শীতেষ তালুকদার মঞ্জু, তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ হোসন, সদস্য এড কল্লোল তালুকদার চপল, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তি দাস, যথীন্দ্র মোহন তালুকদার, প্রমুখ।