সুনামগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২২, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জে দায়েরকৃত মামলায় মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৯ অক্টোবর) হবিগঞ্জ জেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহনপুর নামক এলাকা হতে মামলার এজাহারনামীয় আসামী আবুল মিয়া (৫০) ও আছমা বেগম (৪০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামীদের নিকট হতে ১টি ভেনিটি ব্যাগ এবং ব্যাগের ভিতর রাখা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫শ টাকা, ৭টি মোবাইল ফোন ১টি এটিএম কার্ড ২টি ব্যাংক চেক ১টি পাসপোর্ট জব্দ করে পুলিশ।
মামলার এজহারসুত্রে জানাগেছে মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের মো.তরিকুল ইসলাম (৪১) বাদী হয়ে শ্রীধর পাশা গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র আবুল মিয়া, আবুল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম, আবুল মিয়ার পুত্র আলী হোসেন ও দিরাই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সালেহ আহমদকে আসামী করে মানব পাচার আইনে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় মামলা রুজু করেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় জানায়, এজাহার নামীয় আসামী আবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তার লিবিয়া প্রবাসী পুত্র আসামী আলী হোসেনের মাধ্যমে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালী পাঠানোর জন্য ১৯ লক্ষ টাকার চুক্তিতে সম্মতি প্রকাশ করেন। দুবাই পাঠানোর পর আসামী আবুল মিয়া চুক্তি মোতাবেক আরও ৭ সাত লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।
উক্ত টাকা পেয়ে ১ ও ২নং আসামীদ্বয় কৌশলে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালী না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অবস্থানরত তার ছেলে আসামী আলী হোসেন ও তার আত্মীয় আসামী সালেহ আহমদ এর নিকট পাঠিয়ে দেয়। ঐসময় বাদী তার ছেলের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, সে লিবিয়ায় আছে এবং অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বাদী তার ছেলেকে ইতালিতে পাঠাতে না পারলে দেশে ফেরত আনার জন্য আসামী আবুল মিয়াকে জানায়। আসামী আবুল মিয়া পুনরায় বাদীকে আশ্বস্ত করে চুক্তির অবশিষ্ট টাকা বাদীর নিকট হতে গ্রহণ করে। বাদীর চাপে আসামী আবুল মিয়া একপর্যায়ে বাদীকে জানায় যে, তার ছেলে একওয়ান ইসলাম লিবিয়া অবস্থানকালে মৃত্যুবরণ করেছে। পরবর্তীতে বাদী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর তার ছেলে একওয়ান ইসলাম এর মৃতদেহ দেশে নিয়ে আসে এবং মৃতদেহ ও মৃত্যু সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি গ্রহন করে জগন্নাথপুর থানায় নিয়ে আসলে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।