ওসমানীনগরে স্কুল সহকারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২২, ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
ওসমানীনগরে অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের নাম স্বপন মালাকার (১৯)। সে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খুজগিপুর গ্রামের পিরু মালাকারের ছেলে ও খুজগীপুর মান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী। বিষয়টি নিস্পত্তির দায়িত্ব স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপর রয়েছে বলে জানায় ভিকটিম ও অভিযুক্তের পরিবার। ঘটনার পর ৭ দিন ধরে অফিস সহকারী স্বপন মেডিকেল ছুটিতে রয়েছে এবং গত সোমবারে বসতঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে ভিকটিম মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে তার ভাইদের সাথে সিলেট শহরে অবস্থান নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়, দুর্গাপূজার সময় গভীর রাতে অফিস সহকারী খুজগীপুর মান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশর্^বর্তি গ্রামে একই গোত্রের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের বাড়িতে আসে। রাতে ঘরের ভিতরে পরপুরুষের খবর পেয়ে ঐ মেয়ে শিক্ষার্থীর ভাইয়েরা স্বপনকে আটকে রেখে মারধর করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন এবং তিনি পারিবারিকভাবে বিবাহের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বপন তার বসতঘরের তীরের সাথে গলায় রশি পেছিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অন্যদিকে লোকলজ¦ার ভয়ে ভিকটিম মেয়েটি বাড়ি ছেড়ে তার ভাইদের সাথে সিলেট শহরে অবস্থান নিয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর বিষয়টি জানতে পেরে ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এসএম মাঈন উদ্দিন রাতে ২ বার অভিযুক্তের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছেন, কিন্তু পুলিশ অভিযুক্ত স্বপনকে বাড়িতে পায়নি। তাছাড়া ভিকটিমের বাড়িতে গেলে ভিকটিমকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ভিকটিমের বাবা জানান, দুর্গাপূজার রাতে স্বপন আমার বাড়িতে এসে একটি অঘটন ঘটায়। আমরা গরীব মানুষ। স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেবেন বলে আমাদের শান্ত থাকার কথা বলেছিলেন, মেম্বার বিষয়টি শেষ করে দেবেন এই আশায় আছি।
অভিযুক্তের বাবা পিরু মালাকার বলেন, পূজার সময় আমরা একে অন্যের বাড়িতে যাই। একই সম্প্রদায়ের হওয়ায় আমার ছেলে তাদের বাড়িতে গিয়েছিল। তারা আমার ছেলেকে প্রথমে চোর সাজিয়ে মারধর করেছে, এখন বলছে আমার ছেলে ধর্ষণ করেছে। আমার ছেলের মাথায় দা দিয়ে তারা কোপ দেয় এতে ৮টা সেলাই লাগে। স্থানীয় মেম্বার সাব বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেবেন বলে আমাদের বলেছিলেন, এখনও শেষ করেন নি। আমার ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিদ বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য বিষয়টি শেষ করতে পারিনি। দু’এক দিনের মধ্যেই উভয় পরিবারকে নিয়ে বসে বিবাহের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেব।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইন্চার্জ এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি গত বুধবার রাতে শুনে সাথে সাথে উভয় বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভিকটিম এবং অভিযুক্তকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আমরা কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।