সিলেটে শপিংমলগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আগমন

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
ঈদকে ঘিরে ছুটির দিনে শপিংমলগুলো বেড়েছে বিক্রি। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এবার পুরোদমে ব্যবসা করতে দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কোন ধরনের বিধিনিষেধ না থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের শপিং শুরু করেছেন ক্রেতারাও। তবে এখনো পুরোদমে জমে উঠেনি বিক্রি, আরো দুই-তিনদিন পর বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। গতকাল শুক্রবার ছুটিরে দিনে সিলেট নগরের শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের আগমন বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার এই সময়ে বিক্রি বেড়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিক্রি বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঈদের পোশাকের জন্য সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে গণ্য হয় বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া এলাকার বিপণীবিতানগুলো। শুক্রবার সেই এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রীতিমতো কেনাকাটার ধুম। একইভাবে অভিজাত ফ্যাশন হাউস আড়ং, মাহা থেকে শুরু করে নয়াসড়ক জেলরোড সড়কের সব ফ্যাশন হাউসে প্রথম রমজান থেকেই ঈদের কেনাকাটা বেড়েছে।
নগরের জিন্দাবাজারস্থ শুকরিয়া মার্কের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার সময় ভয়াবহ সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে। এবার তার ব্যতিক্রম। কারণ এখন মানুষের মাঝে করোনা আতঙ্ক নেই। তাই এখন বিক্রি কম হলেও প্রতিদিন বিক্রি তুলনামূলক বাড়ছে। তারা জানান, এবার তাদের মার্কেটে শাড়ির চেয়ে থ্রিপিসের চাহিদা বেশি। সে সাথে বিক্রি হচ্ছে অরনামেনটসসহ নারীদের যাবতীয় পণ্য। তবে শিশুদের কাপড়ের ক্রেতাও কম নয়। সবার সাথে শিশুদের পাঞ্চাবি, টি-শার্ট, প্যান্ট বিক্রিও ভালো। ওই মার্কেটের এক বিক্রয়কর্মী জানান, তাদের মার্কেটে সব সময়ই বিক্রি ভালো। তবে ঈদে ব্যস্ততা বেশি থাকে। দোকান খোলার পর থেকে বন্ধ না করা পর্যন্ত এখন কাস্টমার আসেন।
নগরের নয়া সড়কস্থ আপন শাড়ী-জুয়ালারী-ড্রেস-এ মেয়েদের থ্রিপিস, ড্রেস, শাড়ি ও ঝলমল বাহারী গহনা পণ্য পাওয়া যায়। দোকানটির পরিচালক ইয়াসিন সুমন জানান, তাদের এখানে প্রথম রমজান থেকেই ঈদ কালেকশন চলে এসেছে। বিক্রিও খারাপ না। তার ভাষ্য, রমজান শুরুর দিন থেকেই কাস্টমারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। দিন যত যাচ্ছে সাথে মানুষ ততোই বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে বিক্রিও। তবে আরো তিন-চার দিন পর ভিড় বাড়বে জানিয়ে এবার ঈদে এক্সক্লুসিভ ইন্ডিয়ান ‘নায়রা’ ড্রেস, সিল্কের শাড়ি।
নাইওরপুল পয়েন্ট থেকে কুমারপাড়া পয়েন্ট পর্যন্ত রয়েছে ছেলে-মেয়েদের কাপড়, জুতা, কসমেটিকস থেকে শুরু করে সব ধরনের দোকান। ওই রোডের আপন’র একজন বিক্রয়কর্মী দৈনিক জালালাবাদকে জানান, মেয়েদের থ্রিপিস, ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট ও শিশুদের কাপড়। এখানে সবচেয়ে বেশি নারীদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা। তাদের ভাষ্য নারীদের পোশাকের পরই এখানে বেশি বিক্রি হয় ছেলেদের পাঞ্জাবি।
জিন্দাবাজার ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটির জেনারেল ম্যানেজার মলয় দত্ত মিঠু জানান, আমাদের মার্কেটে ব্যবসা জমে উঠেছে। শুধু পোশাক নয়, নারী পুরুষ, শিশু-কিশোর থেকে তরুণ-তরুণী-সব বয়সী মানুষকে মাথায় রেখে দোকানগুলোর প্রস্তুতি বিন্যাস হয়েছে। নতুন ঝলমল বাহারী গহনা, কসমেটিক, থ্রিপিস, টিশার্ট, পাঞ্জাবী, সেলোয়ার কামিজ, শাড়ি- মন কাড়ছে ক্রেতাদের।
এ দিকে কাপড় কিনে দর্জিপাড়ায় গিয়ে নিজের পছন্দমতো পাঞ্জাবি-সালোয়ার-কামিজ, দোপাট্টা, প্যান্ট কিংবা শার্ট তৈরি করেন তাদেরকে ভিড় করতে দেখা গেছে ব্ল-ওয়াটার শপিং সিটি, মধুবন, শুকরিয়া, লতিফ সেন্টারসহ থানকাপড়ের দোকানগুলোতে। আগেভাগে কাপড় কিনে সেলাইয়ে না দিলে ঈদের আগে পোশাক পেতে বেগ পেতে হয়, তাই এই দৌঁড়ঝাঁপ, এই ব্যস্ততা।