বিদায় ১৪২৯, আজ চৈত্র সংক্রান্তি

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ৫:২২ অপরাহ্ণ
আজ চৈত্রসংক্রান্তি। বিদায় নিচ্ছে বাংলা বছর ১৪২৯। আজ বছরের, ঋতুরাজ বসন্তের, এমন কি চৈত্র মাসেরও শেষ দিন। আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য চলছে নানা আয়োজন।
চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে কাটান। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন।
জনশ্রুতি আছে- চৈত্র মাসে স্বামী, সংসার, কৃষি, ব্যবসার মঙ্গল কামনায় লোকাচারে বিশ্বাসী নারীরা ব্রত পালন করতেন। এ সময় আমিষ নিষিদ্ধ থাকত। জিয়ল মাছ (পানিতে জিইয়ে রাখা যায় এমন মাছ) যেমন কৈ শিং মাগুরের ঝোল করে খেতেন তারা। থাকত নিরামিষ, শাকসবজি আর সাত রকমের তিতো খাবারের ব্যবস্থা। বাড়ির আশপাশ বিল খাল থেকে শাক তুলে রান্না করতেন গৃহিণীরা। এই চাষ না করা, কুড়িয়ে পাওয়া শাক খেতে বাগানে বেশি বেশি পাওয়া গেলে বিশ্বাস করা হতো- সারা বছরের কৃষি কর্ম ঠিক ছিল। ফলে নতুন বছর নিয়ে দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠতেন তারা।
গ্রামের নারীরা এ সময় সাজগোছ করেন ঘরদোর। মাটির ঘর লেপন করে ঝকঝকে করেন। গোয়ালঘর পরিষ্কার করে রাখাল। সকালে গরুর গা ধুয়ে দেওয়া হয়। ঘরে ঘরে চলে বিশেষ রান্না। উন্নতমানের খাবার ছাড়াও তৈরি করা হয় নকশি পিঠা, পায়েস, নারকেলের নাড়ু। দিনভর চলে আপ্যায়ন। একসময় এমনই ছিলো চৈত্রসংক্রান্তির গ্রামীণ সংস্কৃতি।
এখন রমজান মাস। দেশজুড়ে রোজার আবহ। তবু এর মাঝেই মানুষকে নাড়া দিয়ে যাবে চৈত্র সংক্রান্তি। অন্যদিকে আগামিকালের পহেলা বৈশাখ বরণে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঘিরে আজ সরব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণ।