সিলেট্ শহিদমিনারের প্রধান নিরাপত্তাকর্মীসহ ২ জনকে ক্লোসড

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের প্রধান নিরাপত্তাকর্মীসহ দুইজনকে ক্লোসড করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী। তিনি জানান, শনিবার (১৫ এপ্রিল) সিলেট শহিদমিনার প্রাঙ্গণে একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার থানা সমিতি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বাংলানিউজ এনওয়াইয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে সিলেটের সাংস্কৃতি কর্মীরা শহিদমিনারের তদারকি প্রতিষ্ঠান সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে, সিসিকের পক্ষ থেকে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, এর আগেও সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণে হতবাক করার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লাভ হয় নি এতোটুকুই। উপরন্তু বাঙালী জাতির শৌর্য-বীর্যের প্রতিক শহিদমিনার তালাবদ্ধ করে রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশেন। এতো কঠোর অবস্থানে রাখার পরও কিভাবে সেখানে ইফতার মাহফিল সম্ভব হলো-এমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাপ বয়ে যাচ্ছে। এর আগেও সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণে জন্মদিন পালন ও ইসলামী জলসা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান রবি’র কনসার্ট ব্যানারে ছেয়ে গেছে সিলেটের শহিদ মিনার। বই মেলার নামে শহিদমিনারের ভিতর-বাহির ভরে যায় বিভিন্ন পণ্যের পসরায়। তবুও নির্বিকার থাকে সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অভিভাবক দুই সংগঠন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, সাংস্কৃতিক কর্মীদের সীমাহিন ব্যর্থতার কারণে তদারকি প্রতিষ্ঠান দায়সারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ইফতার মাহফিলের ঘটনার খবর পেয়ে শহিদ মিনারের পাহাড়াদার আফতাব উদ্দিনকে ফোন দেন সিলেটের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সমাতান্ত্রিক দল জাসদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি লোকমান আহমদ। এ সময় আফতাব ইফতার অনুষ্ঠানের বিষয়টি স্বীকার করেন।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এই ইফতারির আয়োজন করে সিলেটস্থ দোয়ারাবাজার থানা সমিতি। ইফতার পরবর্তী থানা সমিতির একটি পেইজ থেকে ইফতার মাহফিলের সংবাদটি প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে সংবাদকর্মী দেবব্রত রায় দিপন নিজের ফেসবুকে শহিদ মিনারে ইফতার মাহফিলের দৃশ্যটি পোস্ট করে সেখানে লিখেন, ‘এখন ইফতার মাহফিলও হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে! ঘটনা-শনিবার ১৫ এপ্রিল। বিস্তারিত পরে লিখছি’ । এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়।