আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে যুক্তরাজ্যে সরব প্রচারণা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মে ২০২৩, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। প্রার্থীতা চূড়ান্ত পরবর্তী সিলেটের পাশাপাশি আনন্দের বান বইছে যুক্তরাজ্যে। সেখানে প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সভা-সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বলছেন, দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি প্রবাসীদের অপার কৃতজ্ঞতা। তিনি সিলেট সিটি করপোরেশেন নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রবাসীকে মেয়র পদের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
একজন যোগ্য,কর্ম ও কর্মী বান্ধব এই নেতাকে মনোনয়ন প্রদানের মধ্য দিয়ে মূলত সিলেটকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য প্রবাসীদের। প্রবাসীরা বলেন, নগর এলাকায় অনেক প্রবাসীর জায়গা দখল, আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও সমাধান প্রচেষ্টা বরাবরই ছিল দুর্বল অবস্থায়। এই অবস্থায় প্রবাসী অধ্যুাষিত দ্বিতীয় লন্ডন খ্যাত সিলেট নগর আগামী স্মার্ট নগরে রূপান্তরিত হওয়ার পাশাপাশি প্রবাসীরাও হবেন শঙ্কামুক্ত।
সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। যদিও এই পদে আর মোট ৯ জন প্রার্থী ছিল দলটির। সবশেষ দলীয় প্রধান এই প্রথম সিটি করপোরেশেন নির্বাচনে একজন প্রবাসীকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিলেন। প্রবাসীরা বলছেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রাজনৈতিক হাতেকড়ি ছিল সিলেটেই। এই মাটিতে থেকেই তিনি জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির উত্থাল সময় কাটিয়ে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাজ্যে। কিন্তু সেখানেও রাজনীতি মুক্ত হতে পারেন নি তিনি। যুক্তরাজ্যে জড়িয়ে পড়েন যুবলীগের রাজনীতিতে। সফলতার পথ ধরেই আজ তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম কান্ডারীরূপে অবতীর্ণ। একই ভাবে সিলেটের রাজনীতি ও আন্দোলন সংগ্রামেও তিনি ছিলেন এক অনন্য ভূমিকায়। সিলেটের ম্যাজিক ম্যান খ্যাত এই নেতাই এখন নগরবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন স্মার্ট সিলেটের।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বৃটিশ বাঙালি আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রার্থী করায় যুক্তরাজ্যের সর্বত্র এখন নির্বাচনী আলোচনায় সরব। বৃটেনের নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট থেকে ওয়েল্সের কার্ডিফ আর মেইনল্যান্ড ইংল্যান্ডের সকল নগর মহানগরে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে ঝড়-বইছে আলোচনার। সিলেটে বসবাসরত হাজার প্রবাসীরা তাঁদের সিলেট সিটির বাসিন্দা আত্মীয়স্বজনকে কল করে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।
এদিকে বৃটেনের সকল শহরে তাঁর পক্ষে নির্বাচনী সভা করে বিভিন্ন কৌশলগত পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে। হাজার হাজার প্রবাসী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করার জন্য দেশে যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছেন এবং অনেকেই সিলেট অবস্থান করছেন। প্রবাসীরা মনে করছেন একজন প্রবাসী মেয়র সিলেট সিটিতে দায়িত্ব পেলে অনেক অভিবাসী সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বাসা জায়গা ব্যবসা দখল সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর অনেকাংশেই লাঘব হবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান জননেতা সুলতান মাহমুদ শরিফ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন সৎ দক্ষ এবং কর্মঠ ব্যক্তিকে এজন্যই প্রার্থী করেছেন, যেন সিলেট সিটির সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হয় এবং এই সিটি একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা যায়। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই সিলেটের জনগণ তাঁদের উন্নয়ন ধারাকে আরও বেগবান করার জন্য নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিজয়কে লক্ষ ভোটের ব্যবধানে নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সংগ্রামী যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন জনদরদী মানুষ, উন্নয়নই যার জীবনের ব্রত, মানুষের সেবাই যার একমাত্র লক্ষ্য’। আমি আশাবাদী সিলেটবাসী এই কর্মদক্ষ মানুষটিকে নির্বাচিত করে সিলেটকে একটি স্মার্ট মহানগরে প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী করলে আগামীতে উন্নয়নের বন্যায় ভাসবে সিলেট সিটি।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, কবি মাশূক ইবনে আনিস এই প্রতিবেদনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, একজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটের রাজনীতি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করেছেন। যাকে দিয়ে আগামী দিনের সিলেট সিটিকে একটি উদাহরণতুল্য মহানগরে পরিনত করবেন বলে আমি আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত একজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী হবেন সকল ওয়ার্ডের জনতার সর্বসময়ের সেবক। তিনি হবেন আপামর মানুষের বন্ধু।এই প্রার্থীই বিজয়ে হয়ে সিলেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।