সিলেটে আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামলেন প্রবাসীরা

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৩, ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ
অতীতে এমনটা দেখা না গেলেও এবার সিলেট সিটি করপোরেশনে ভিন্ন এক চিত্র। শত শত প্রবাসী এখন সিলেটের নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এদের মাঝে সবচেয়ে বেশি আধিক্য যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের। এছাড়াও আছেন আমেরিকা, কানাডা, ইতালি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকশ’ প্রবাসী।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সমর্থন জানাতেই মুলত তাদের সিলেটে ছুটে আসা। সকাল থেকে রাত পাড়া-মহল্লায় তারা লিফলেট হাতে ঘুরছেন। বক্তব্য দিচ্ছেন বিভিন্ন নির্বাচনী সভায়ও। নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইছেন। এ ছাড়া কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রবাসী আত্মীয়স্বজনও দেশে এসে প্রচারণা চালিয়েছেন। আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে তার স্ত্রী-পুত্রও গণসংযোগ করছেন।
দলীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও। এ সুবাদে যুক্তরাজ্যসহ প্রবাসী সিলেটিদের সঙ্গে তার চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তাই তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর অনেক প্রবাসী তার পক্ষে কাজ করতে দেশে এসেছেন। প্রবাসীরা দেশমুখী হয়েছেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন-এটা একটা শুভ লক্ষণ।
দেখা গেছে, প্রবাসীরা বিভিন্ন পাড়ামহল্লা ও বিপণিবিতানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে লিফলেট বিলি করছেন। মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক এবং নানা সামাজিক আয়োজনে যোগ দিয়ে ভোট চাইছেন। কেউ কেউ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে জড়ো করে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধও করছেন। এছাড়া প্রার্থীর সঙ্গেও অনেক প্রবাসী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় যোগ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে দেশে ফেরা যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু বলেন, আনোয়ারুজ্জামান ও নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমরা দেশে এসেছি। তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে একজন নিবেদিতপ্রাণ। তাঁর বিজয়ের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিজয় দেখতে চাই। আশা করি সিলেট নগরবাসী তাকে মূল্যায়ন করবে।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন জনবান্ধব নেতা। তাই তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে নিজ খরচে প্রবাসীরা দলবেধে দেশে এসেছেন।
তবে প্রবাসীদের কার্যক্রম ও গতিবিধি নজরদারিতে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান। তারা অভিন্ন কণ্ঠে জানান, টাকা ছড়িয়ে প্রবাসীরা যেন ভোটারদের প্রভাবিত করতে না পারেন, সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে।