সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড : চলছে চাঁদাবাজি

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৩, ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি অটোরিক্সা মিশু স্ট্যান্ড। আর স্ট্যান্ডে বিভিন্ন পরিবহনে চলছে অবাধে চাঁদাবাজি।
অভিযোগ রয়েছে, ওই সড়কে সুনামগঞ্জ জেলা (সিএনজি) চালিত অটোরিক্সা মিশু ও টেক্সিকার ড্রাইভার্স ইউনিয়ন (রেজিঃ-নং-চট্টঃ-১৯২৬) এর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ যাত্রী।
সিএনজি অটোরিক্সা মিশু চালকরা চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে বারবার প্রতিকার চেয়েও কোনো কাজ হয়নি। চাঁদাবাজির কারণে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয় যাত্রীদের। দীর্ঘদিন ধরে লেগুনা, বেবিট্যাক্সি, টেম্পো, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. আবুল খায়ার চৌধুরী পাখি ও বিএনপির নেতা মো. বিল্লাল হোসেনের নেতৃতে চলছে এসব চাঁদাবাজি ও লুটপাট। প্রতিদিন এসব চাঁদাবাজির একটি ভাগ পান তার।
ভুক্তভোগী সিএনজিচালকরা জানান, মধ্যনগর স্ট্যান্ডের ইজারা না থাকার পরও প্রতি সিএনজি ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে অত্যাচার, নির্যাতন। এছাড়াও ধর্মপাশা- মধ্যনগর সড়কের বিভিন্ন যানবাহন থেকেও জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যুবদল নেতা মো. আবুল খায়ার চৌধুরী পাখি ও বিএনপির নেতা মো. বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ওই চক্রটি সক্রিয় বলেও জানা যায়। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চেয়ে স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি। তা বন্ধে নেই কোনো কার্যকর ব্যবস্থা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মো. আবুল খায়ার চৌধুরী পাখি বলেন, ওসি এবং ইউএনও নির্দেশে আমরা প্রতি সিএনজি অটোরিক্সা মিশু থেকে ২০-৩০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।
মধ্যনগর থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, খুব শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে ওই চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।