কুলাউড়ায় বাইশালী টিলার জঙ্গি আস্তানা : আটক ১৭

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের সেই আলোচিত বাইশালী টিলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের আগে পলায়ন করা ১৭ জঙ্গি সদস্যকে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সহযোগিতায় আটক করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ। আটককৃতদের কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে পুলিশী পাহারায় রাখা হয়। হলরুমের বাইরে পুরো ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা ঘিরে রাখে জেলা পুলিশ, কুলাউড়া থানা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় শতাধিক পুলিশ। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় আটক জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশী পাহারায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
পরে প্রেসবিফিংয়ে সাংবাদিকদের ১৭ জন জঙ্গি সদস্যদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন চিকিৎসক ও চায়নায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুজন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। তারা একদিনে ঘর থেকে হিজরত করতে বের হয়নি। রাত গভীর হওয়ায় পাহাড়ের নির্জন স্থানে যাওয়া সম্ভব হবে না বিধায় মঙ্গলবার সকালে আটককৃতদের নিয়ে পাহাড়ের ভিতরে তাদের সেই আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। কারণ পাহাড়ের ভিতরে নির্জনস্থানে কিভাবে আস্তানা করে তারা আত্মগোপনে ছিল এবং তাদের ভবিষ্যৎ মূল পরিকল্পনা কি ছিল সেটি তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মুলে বাংলাদেশ পুলিশ সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। একদম নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিল কিন্তু গত ৭ আগস্ট ঢাকা থেকে ১০ জন, ১২ আগস্ট কুলাউড়া থেকে ১০ জন ও ১৪ আগস্ট স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আরো ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। জঙ্গি ও উগ্রবাদদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। তাদেরকে স্বল্প সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে আমাদের ধারণা, তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে।
এদিকে আটক ১৭ জনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক পলাতক থাকা সোহেল তানজিম ও আব্দুল আহাদ মেন্দি নামের একজন ব্যক্তি রয়েছেন। মেন্দি জঙ্গিদের সংগঠনের কমান্ডার নামে পরিচিত। তিনি নিজেকে ইমাম মাহমুদ বলে দাবি করছেন বলে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান।
এর আগে গত শনিবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের বাইশালী টিলায় থাকা জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষসহ ১০ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট, সোয়াট ও পুলিশ। এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিদের সাথে থাকা অন্য সদস্যরা পাহাড়ের ভিতরে আত্মগোপনে চলে যায়। অভিযানের পর থেকে স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক কাজ করছিল। সবার ধারণা ছিল পাহাড়ের ভেতরে সেই আস্তানা থেকে জঙ্গিদের কমান্ডার হিসেবে পরিচিত আব্দুল আহাদ মেন্দিকে কাঁধে বহন করে চলে যায় অন্য সদস্যরা।