জগন্নাথপুরে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০২৩, ২:৩৮ অপরাহ্ণতীব্র খরা শেষে বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। শুকিয়ে থাকা খাল, বিল, জলাশয়ে ভরছে পানিতে। তীব্র খরায় শুকিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষেতেও ফিরে এসেছে আর্দ্রতা। নিচু জমিতে জমেছে বৃষ্টির পানি। আর এই সময়টায় রোপা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত, চাষাবাদ এবং ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটছে চাষিদের। বিশেষ করে জগন্নাথপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা নদীর পাড়ের জমিসহ ফসলি জমিতে ধান রোপণ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ, পাইলগাঁও, আশারকান্দি, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে আমনের ফলন ভালো হয়। এ সব এলাকার কৃষকরা রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করছেন বিস্তীর্ণ জমিতে। বৃষ্টি থাকায় কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ফেটে চৌচির হওয়া ফসলি জমিতে বৃষ্টির ফলে ধান রোপণ সহজ হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
গন্ধর্বপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, জমিতে আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টানা খরা থাকায় সেচ দিয়ে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছিলাম। পরে বৃষ্টি শুরু হলে কৃষকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। আরেক কৃষক জানান, চলতি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন তিনি। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি পাওয়ায় চাষাবাদে কোনো অসুবিধা হয়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনও বেশ ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জগন্নাথপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত জুন-জুলাই মাস আমন ধান রোপণের সময়। এ বছর বৃষ্টিপাতও পিছিয়েছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে কৃষকরা আমনের চারা রোপণ শুরু করেছেন। এবার ৪শত ৮৮ হেক্টর জমিতে বিজতলা করা হয়েছে। এক হাজার কৃষকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বিনা ১৭,২২, বিধান ৫১,৫২,৯৩,৯৫ ধান রোপন করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমদ জানান, জগন্নাথপুরে চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ৪শত ৮৮ হেক্টর জমিতে বিজতলা করা হয়েছে। এক হাজার কৃষকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা বর্তমান পুরোদমে আমন ধানের চারা লাগানোর ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া বর্তমান অনুকূলে রয়েছে। আর আমরা চাষিদের চারাগুলো লাইন করে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বোরোর মতোই আমনেরও বাম্পার ফলন হবে।