জগন্নাথপুরের নদী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও গ্রামের পাশে নরজুল নদীর উপর স্ট্রিলের ব্রিজ গত মঙ্গলবার ব্রিজ ভাঙ্গার পর নদী পারাপারে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে নৌকার মাঝিদের রুক্ষ ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সুনামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে হাইওয়ে রোড হওয়ায় প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজ সহ কোর্ট-কাচারি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মুমূর্ষ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নরজুর নদীর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে সার্বক্ষণিক আসা-যাওয়া করতে হয়। কোন প্রকার ইজারা ছাড়া যাত্রী প্রতি ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০০ টাকা বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ব্রিজ ভাঙ্গার প্রথম দিন অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত আদায় করা করা হয়েছে বলে অনেকে জানান।
এখলাছুর রহমান, মিজানুর রহমান সহ আরো অনেক যাত্রীরা জানান, নৌকা ভাড়া তো ৫ টাকা রাখলে চলতো আমরা রানীগঞ্জ কুশিয়ারা নদীতে খেওয়া ঘাটে ৫টাকা ভাড়া দিয়ে আসছি। মটর সাইকেল ২০ টাকা রাখলে চলতো কিন্তু এখানে ১০০শত টাকা রাখা হচ্ছে। অনান্যে যায়গা সর্বক্ষেত্রে ভাড়া কমিয়ে রাখা হলেও তবে এখানে নৌকার মাঝিরা এ নির্দেশ অমান্য করে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। নৌকা ভাড়া কমানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার মাঝিরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এখানে একজন বলছেন যাত্রী প্রতি ১০ টাকা ও মটর সাইকেল প্রতি ১০০ টাকা নিচ্ছি। একজন লোক বলছেন উনার নাম জানিনা। এ বিষয়ে জানতে কে একজন লোক, সেই লোককে অনেক খোঁজা খুজির পর পাওয়া যায় নাই।
এ ব্যাপারে জানতে জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নৌকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে শুনেছি আনঅফিশিয়ার ভাবে আমাকে বলা হয়েছে। যেহেতু তারা ইজারা নেয় নাই। আমি বিষয়টা দেখতেছি।