সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লঙ্ঘন বরদাস্ত করা হবে না : শাল্লায় আইজিপি

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:২৭ অপরাহ্ণ
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হবে নির্বিঘ্নে। যে কোনো ধর্মের উৎসব, পূজাপার্বণ পালনে বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় পাশে থাকবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের অধিবাসী, সবাই বাঙালি। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে একসাথে মিলেমিশে থাকতে চাই। এরমধ্যে সামান্যতম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লঙ্ঘন আমরা বরদাস্ত করব না। জাতিরপিতা সোনার বাংলা বিনির্মাণে যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন তা আজ বাস্তবায়ন হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এদেশ সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। আমরা চাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি সমাজ ব্যবস্থা।
তিনি বুধবার (৬সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা সদরে অবস্থিত শ্রীশ্রী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার কালী মন্দির কমিটির আয়োজনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৯তম আবির্ভাব তিথি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার কালী মন্দির কমিটির সভাপতি ও বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর সভাপতিত্বে এবং পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সদস্য চম্পা তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউল রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী ও পূজা উদযাপন পরিষদ শাল্লা শাখার সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস। এরপূর্বে শ্রীশ্রী কালী মন্দিরের সংস্কার কাজের উদ্বোধন ও শাল্লা থানা পরিদর্শন করেন আইজিপি। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা শাল্লা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা সভার পূর্বে উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করে নেয় কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় আইজিপি আরও বলেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছে। সুতরাং এদেশ কোনো অপশক্তির আস্তানা হতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা সরকারের কারণেই আমাদের মধ্যে আজ অসাম্প্রদায়িক চেতনা তৈরি হয়েছে। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমাদের সবার মধ্যে থাকতে হবে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলেন ধর্ম’ যার যার উৎসব সবার’। আমরা আজ আপনাদের উৎসবে একাত্ম হতে এসেছি।
তিনি বলেন ২০০৬ সালে আমি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি কুঁড়েঘর, মাটির ঘরে মানুষ বসবাস করছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বগ্রহণ করার পর দেশে প্রভুত উন্নয়ন হয়েছে। ফলে এখন আর কুঁড়ে ঘরও নাই, মাটির ঘর। শাল্লা উপজেলাকেও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।