মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই

বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩:২০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ও ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বড় বোন সাংবাদিক গীতা মেহতা মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাসভবনে মারা যান তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
গীতা মেহতা ওড়িয়া নেতা বিজু পট্টনায়কের মেয়ে। ১৯৪৩ সালের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর পড়ালেখা করেছেন। ১৯৭০-৭১ সালে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতা তিনি বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ এ বর্ণনা করেছেন।
গীতা মেহতা ‘কার্মা কোলা’, ‘স্ন্যাক অ্যান্ড ল্যাডারস’, ‘আ রিভার সূত্র’, ‘রাজ’ এবং ‘দ্য ইটারনাল গণেশা’-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত বই লিখেছেন।
২০১৯ সালে রাজনৈতিক কারণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে গীতা মেহতা সর্বশেষ খবরের কাগজে শিরোনাম হয়েছিলেন। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি। সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।
গীতা মেহতা আরও বলেছিলেন, এর কারণ হচ্ছে সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এমন সময়ে এই সম্মান মানুষের মাঝে ভুল বার্তা দিতে পারে, তাতে ভারত সরকার এবং আমি দুজনেই বিব্রত হব, যা আমার পক্ষে আরও বেশি দুঃখজনক।
গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে মোদি বলেন, প্রখ্যাত লেখিকা শ্রীমতি গীতা মেহতা জির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তাঁর জ্ঞান ও আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।