বিছানাকান্দি সীমান্তে বেপরোয়া গোলাম হোসেন চক্র : ঢুকছে ভারতীয় গরু

বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:৫৯ অপরাহ্ণ
উপরের শিরোনাম নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবুও অপ্রতিরোধ্য সীমান্ত পথ। প্রতিদিন যে পথ ধরেই আসছে ভারতীয় গরুর বিশাল চালান। বিজিবি আছে, আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু অবৈধ এই গরুর চালান রোধে ব্যবস্থা নেই সংশ্লিষ্টদের। উপরন্তু বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছে চোরাচালানী সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, শুধু মাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এই সিন্ডিকেটের আঁতাত থাকায় সীমান্ত পথ এখন অরক্ষিত। এরফলে যেকোনো সময়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যেখানে সীমান্ত পথ ধরেই দিন-রাতে ভারত থেকে স্রোতের মতো আসছে গরুসহ চোরাইপণ্য। ঢুকছে মাদকসহ নানা অবৈধ সামগ্রী।
স্থানীয়রা জানান, এই চক্রের মূল হোতা গোলাম হোসেন। তিনি বিছনাকান্দি এলাকার উপরগ্রামের বাসিন্দা। সহযোগী হিসেবে যুক্ত আছেন হাদারপার এলাকার বদরুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন। সাথে নিরাপদ শক্তি হিসেবে যুক্ত আছেন বিজিবির লাইনম্যান খ্যাত হাইজ্জা। ফলে বিজিবি ও থানা পুলিশকে‘ম্যানেজ’করে নিরাপদে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে চোরাচালানী সিন্ডিকেট।
জানাগেছে এর আগেও বিছনাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোলাম হোসেন এর বাড়ি থেকে ৪০টি ভারতীয় গরু আটক করে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঝে মধ্যে এসব লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে চোরাই গরুসহ মালামাল আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতা গোলাম হোসেন।এসব তথ্য জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা বলছেন, গরু সীমান্ত পেরোনোর পর সড়কপথ ভ্রমণ শেষে শহরে প্রবেশ করেছে।এভাবেই প্রতিদিন বিছনাকান্দি দিয়েই সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় পাঁচশ’গরু অবৈধভাবে দেশে আসছে। রাতের আঁধারে বিজিবি ও বিএসএফ এর সমন্বয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া খুলে দলবেঁধে নামানো হয় গরু।এপারে আসার পর আরও কয়েকজন গুনে গুনে গরুগুলো গ্রহণ করে। এরপর গরু নিয়ে আসা হচ্ছে সিলেটের দিকে। আশপাশেই বিজিবি সদস্যরা টহল দিলেও এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তাদের। এবং নীরব ভূমিকা পালন করছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে গোলাম হোসেন বলেন,‘আমি মাঝে মধ্যে আমার মাধ্যমে কিছু গরুসহ কিছু ভারতীয় পণ্য দেশে প্রবেশ করতে সহযোগিতা করি। কিন্তু এখন আমি আর এই কাজ করছি না। তবে এই চক্রের অপর সদস্য নাসির উদ্দিন,গোলাম হোসেন,বদরুল ইসলাম,হাইজ্জাদের সাথে কোনভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ পথে ভারতীয় পণ্য কোনভাবে দেশে আসার সুযোগ নেই। এরকম কোন খবর পেলে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশকে জানাবেন। আমরা এর ব্যবস্থা নেব।