কুশিয়ারার ভাঙ্গন থেকে শেওলা রক্ষার আবেদন

বাংলানিউজ এনওয়াই ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩:২৫ অপরাহ্ণ
সিলেটের প্রাচীনতম জনপদ বিয়ানীবাজার। কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী শেওলা ইউনিয়ন এই জনপদের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। কিন্তু ক্রমাগত নদী ভাঙ্গনে এই ইউনিয়ন এখন হারাতে বসেছে অস্থিত্ব। প্রতিটি নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা এই ভাঙ্গণ রক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। কিন্তু দুর্দশা লাঘব হয় না স্থানীয়দের। দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলে ধরেছেন বিয়ানীবাজারের সন্তান ও সংগঠক আলী আক্তারুজ্জামান বাবুল।
তিনি বুধবার নিজের ফেসবুক পোস্টে এ বিষয়ে একটি লেখা সাংবাদিকদের দৃষ্টিতে আনেন। শেওলাবাসীর স্বার্থে তাঁর পোস্ট হুবুহু তোলে ধরা হলো।
আসসালামু আলাইকুম ও আদাব। সিলেট জেলার প্রাচীনতম জনপদ বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রতা কুশিয়ারা নদী। যুগ যুগ ধরে কুশিয়ারার ক্রমাগত ভাঙ্গনে শেওলা বাজার, দিগলবাক,কাকরদি,ঢেউনগর,বালিঙ্গা,শালেশ্বর ও কোনা শালেশ্বর গ্রামের হাজার হাজার ফসলি জমি ও শত শত মানুষের বসত ভীটা নদী ভক্ষে ধারণ করে নিয়ে, শত শত পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করেছে।কেউ সর্বোচ্চ হারিয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে অন্যত্র কারো আশ্রয়ে কিংবা আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সর্বনাশা কুশিয়ারা নদী কেবলমাত্র বসত ভীটা ও ফসলি জমিজমা কেরে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি,সেই সঙ্গে ইতিমধ্যেই কেরে নিয়েছে বেশ কয়েকটি হাট বাজার, স্কুল-মাদ্রাসা পোস্ট অফিস। উল্লেখিত গ্রাম গুলির মধ্যে কোনাশালেশ্বর গ্রামের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। এই গ্রামের পর্যাপ্ত জমি না থাকার কারণে, ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন বসত ভিটা অন্যত্র স্থানান্তর করতে পারছেন না। ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ গ্রাম নদী বক্ষে বিলীন হয়ে যাবে।
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, যুগ যুগ ধরে খরস্রোতা কুশিয়ারা নদী উল্লেখিত গ্রামগুলির ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলেও, এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন সরকারি বিভাগ এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই।তাই আসুন এই ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নদীর পাড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের নিকট দাবি জানাই।সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে “কুশিয়ারা ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি”গড়ে তুলি।
একি সঙ্গে সবাই আওয়াজ তুলি,বসতি ভীটা রক্ষার নিশ্চয়তা চাই, কুশিয়ারার পাড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাধ চাই।
(এ ব্যাপারে আমরা সমাজের দর্পণ বলে খ্যাত প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার সাংবাদিক বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি)
ধন্যবাদান্তে,
আলী আক্তার উজ- জামান বাবুল,
কোনা শালেশ্বর, বিয়ানীবাজার, সিলেট।