না ফেরার দেশে নৃত্যশিল্পী জিনাত বরকতউল্লাহ

বিনোদন ডেস্ক :
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
না ফেরার দেশে চলে গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ।বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জিনাত বরকতউল্লাহর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ।
দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন জিনাত বরকতউল্লাহ। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন গুণী এই শিল্পী।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্য চর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
জিনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর তিনি একই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশন শিল্পকলা একাডেমিতে যোগদান করেন। ১৯৭০-এর দশক থেকেই মূলত তার নৃত্যযাত্রা শুরু হয়।
প্রথমজীবনে তিনি উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় নৃত্যের তিনটি ধারা ভরতনাট্যম, কত্থক এবং মণিপুরী নৃত্যে শিক্ষা লাভ করলেও পরবর্তীতে লোকনৃত্যেই তাকে বেশি দেখা যেত। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘মারিয়া আমার মারিয়া’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবেও যাত্রা শুরু করেন। তিনি প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘ঘরে বাইরে’, ‘অস্থায়ী নিবাস’, ‘বড় বাড়ি’, ‘কথা বলা ময়না’সহ প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, নৃত্যাঞ্চল ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জিনাত বরকতুল্লাহ নৃত্যশিল্পে অবদানের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে জিনাত নাট্যকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০২০ সালের ৩ আগস্ট মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান বিজরী বরকতুল্লাহ ও কাজরী বরকতুল্লাহ।